প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
উল্লেখ্য, চলতি খরিফ মরশুমের চাষ এবার শেষের দিকে। জেলার বিভিন্ন গ্রামে ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। চাষিরা ইতিমধ্যেই ধান তুলে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের খামারে। কিন্তু অভিযোগ, পরবর্তী চাষ শুরু করার ঠিক আগেই এই ধান কাটা জমিগুলিতে ধানের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলার উদ্যোগ নেন অনেক চাষি। রাতের অন্ধকারে চাষের শুকনো জমির নাড়াগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেন অনেকেই। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, নাড়া পোড়ানো জমির জন্য দারুণভাবে ক্ষতিকর। এতে প্রথমেই আগুনের তাপে জমির আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে জমির মধ্যে থাকা চাষের উপকারী ব্যাকটেরিয়া, কীটপতঙ্গ আগুনের তাপে মারা যায়। এতে জমির উর্বরা শক্তি কমে যায়। এছাড়াও আরও নানান ক্ষতি হয় জমিতে। সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা চাষিদের এই নাড়া পোড়ানো বন্ধের পরামর্শ দিচ্ছেন। এর পরও বেশকিছু চাষি সচেতনতার অভাবে নাড়া পোড়াচ্ছেন। ফলে আগামী ৬ নভেম্বর প্রশাসনিক ভাবে ওই দিনটিতে নাড়াপোড়ানো বিরোধী দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন প্রতিটি ব্লকের গ্রামে সচেতনতামূলক র্যালি, সচেতনতা শিবির, পুতুল নাচ ইত্যাদি কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জেলা কৃষিদপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, আমরা এখন প্রতিবারই চাষের পর চাষিদের নাড়াপোড়ানো বন্ধের জন্য সচেতন করতে নানা ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করছি। তারমধ্যেই ৬ নভেম্বর জেলাজুড়ে নাড়াপোড়ানো দিবস পালিত হবে। তাতে চাষিদের নাড়া পোড়ানোর ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়ে সচেতন করা হবে।