বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
২০০৭সালে নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলনে একজন প্রথম সারির নেতা হলেন নিশিকান্ত মণ্ডল। ২০০৮সালে তিনি তৃণমূল পরিচালিত সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। ২০০৯সালে ২২সেপ্টেম্বর দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন ওই নেতা। ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত আটজন বেকসুর খালাস হয়। তারপর পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। যদিও এখনও সিবিআই তদন্ত নিয়ে আদালত কোনও রায় দেয়নি।
২০১০সাল থেকেই নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় তাঁর মূর্তির সামনে প্রতিবছর বিইউপিসি-র ব্যানারে শহিদস্মরণ সভা হয়। রবিবার দুপুরে বিজেপির তরফে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ব্যানারে সেখানে স্মরণ সভা হল। দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল, অশোক করণ, স্বদেশ দাস অধিকারী প্রমুখ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। তবে, ওই কর্মসূচিতে প্রয়াত নেতার ছেলে তথা বিজেপির নির্বাচিত সদস্যের উপস্থিতি না হওয়া নিয়ে গুঞ্জন চলছে। প্রায় এক বছর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সত্যজিৎ মণ্ডলের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এদিন বিজেপির কর্মসূচিতে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে সেই জল্পনা আরও বাড়ল।
বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ওই জায়গায় স্মরণ সভা হয়। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন চিত্ত মাইতি প্রমুখ ছিলেন। সভায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের ঘটনায় আটজন বেকসুর খালাস হয়। সিপিএম জমানায় খুন হন নিশিকান্তবাবু। তৎকালীন সময়ে মামলার নথিপত্রে ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল। ওই মামলায় বর্তমান সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না। সুতরাং পরিবার সিবিআই তদন্ত চাইলে এবং হাইকোর্ট সেই মর্মে রায় দিলে আমাদের বলার কিছু নেই।
এদিন সত্যজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখানে বাবার মূর্তি আছে। যে কেউ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সকালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, সত্যজিৎ মণ্ডল ও তাঁর পরিবার সকালে নিশিকান্তবাবুর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এদিন ওঁদের মন খারাপ থাকে। তাই আমাদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি।