বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রবিবার ছিল ছুটির দিন। সকাল সকাল হাজির একদল তৃণমূল কর্মী। রয়েছেন শান্তব্রত চট্টোপাধ্যায়। চরম ব্যস্ত তিনি। নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসত নেই তাঁর। দীর্ঘ আড়াই বছরে কেষ্টদা নিয়ন্ত্রিত দলের সাংগঠনিক কাঠামোর অনেকটাই রদবদল হয়েছে। তিনি ফিরলেই বুথস্তরের সংগঠন ও ভোটের সব খুঁটিনাটি তুলে ধরতে হবে। তাই এখন শান্তবাবুর একটাই লক্ষ্য—অফিসের ফাইলপত্র সেই আগের মতোই গুছিয়ে রাখতে হবে। সেই কাজটাই তিনি করে চলেছেন। বাকি কর্মীরা গোটা পার্টি অফিস ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করছেন। জানলার পর্দা থেকে শুরু করে আলমারি, ডেস্ক সবকিছুই পরিষ্কার করা হচ্ছে। গোপন বৈঠকের রুমটিও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
পার্টি অফিসের স্টোর রুমে দু’টি কাঠের চেয়ার ছিল। সেগুলিতে জমে থাকা ধুলো পরিস্কারের কাজ চলছে। এরই একটিতে বসতেন অনুব্রত। আপাতত সেটি বদল হচ্ছে না। ফলে, আগের মতো শক্তপোক্ত রয়েছে কি না, দেখে নিচ্ছেন কর্মীরা। অনুব্রতর ঘরের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হল বোর্ডও। তাতে লেখা—অনুব্রত মণ্ডল। সভাপতি, তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা কমিটি। আর কর্মীদের এসব কাজের তদারকি করে চলেছেন অফিসের সর্বক্ষণের কর্মী শান্তব্রত চট্টোপাধ্যায়, দলের জেলা কোষাধ্যক্ষ দীপক রায়।
শান্তবাবুর নামের সঙ্গে কাজের অদ্ভুত মিল! ঠান্ডা মাথায় অফিসের সবকিছু সামলান তিনি। তাই ‘অফিস বেয়ারার’ হিসেবে তাঁর উপর অগাধ আস্থা, ভরসা রাখতেন কেষ্টদা। তিনি ফিরে এলে আগের সেই ভরসার জায়গা যাতে নড়বড়ে না হয়ে যায়, তার প্রাণান্তকর চেষ্টা শান্তবাবুর। কাজের ফাঁকে তিনি
বলছিলেন, ‘এতদিন পর জেল থেকে দাদা ছাড়া পাচ্ছেন। এই আনন্দ ধরে রাখি কোথায়! আমরা যারা ওই লোকটাকে এতবছর ধরে দেখে আসছি, তাঁদের কাছে ফের দাদাকে কাছে পাওয়ার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দাদার চেয়ার এতদিন তুলে রাখা হয়েছিল। এবার সেটিকে ফের অফিসের ভেতর আনা হয়েছে। আর আমাকে তো রোজই কাগজপত্র নিয়ে বসতে হচ্ছে। কোন ব্লকে কত মাইনাস, কত লিড রয়েছে, এসব এসেই জানতে চাইবেন। এই আড়াই বছরে ভোটের কী পরিবর্তন হয়েছে, সেটাও জানাতে হবে। সেই ফাইল রেডি করছি। কারণ কেষ্টদা এসব দিকে খুব নজর রাখতেন। দাদা ফেরার পর আগামী ১ মাস এইসব ফাইলপত্র দেখাতেই কেটে যাবে বলে মনে হয়।’