বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এদিন তিনি প্রথমে ঘাটালে এসে লাইফ জ্যাকেট পরে নৌকাতে চড়ে ঘাটাল ব্লকের অজবনগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে জলবন্দি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতীকী ত্রাণ বিতরণ করেন। সেখান থেকে ফিরে আরও কয়েকটি জায়গা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু জল অনেকটা কমে যাওয়ার ফলে নৌকা চালানো যায়নি। সেখান থেকে ফিরে শহরের কুশপাতাতে দলীয় কার্যালয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন।
দেব বলেন, ‘হাজার হাজার পরিবার এতদিন ধরে জলবন্দি রয়েছেন। দেখে খুব খারাপ লাগছে। আমরা যতই মুখে বলি না কেন, এঁদের যন্ত্রণা আমরা ঠিক উপলব্ধি করতে পারছি না। এদেরকে যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি করলে চলবে না।’
মাস্টার প্লান নিয়ে দেব বলেন, ‘দিদি যখন কথা দিয়েছেন তখন মাস্টার প্ল্যান কার্যকর হবেই। এনিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কারণ, দিদি যা কথা দেন, সবটাই রাখেন। তাই এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না।’ এর পরই বানভাসিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এবার তিনি তৃতীয় বারের জন্য ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। তাই এই তৃতীয় বারের মেয়াদের মধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হবে এবং শেষ হবে।’ তাই একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন ঘাটালবাসীর কাছে।
এরই পাশাপাশি এদিন মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিরোধীদের খোঁচাও দিয়েছেন দেব। বলেন, ‘আমি ২০১৪ সাল থেকে সংসদ সদস্য হয়েছি। কিন্তু মাস্টার প্ল্যানের সমস্যাটি বেশ কয়েক দশক আগের। তাহলে এই মাস্টার প্ল্যানের বিষয়টি নিয়ে এখন যেভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে, এতদিন তা নিয়ে কেউ ভাবেননি কেন? এর সমাধান তো অনেক আগেই হয়ে যাওয়া উচিত ছিল? দিদি উদ্যোগ নিয়েছেন এবার হবে।’
এদিকে, এদিন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বন্যা পরিদর্শনে আসেন। সেই সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকারও বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। শনিবার রাত থেকেই ঘাটাল মহকুমায় সর্বত্র বন্যার জল কমতে শুরু করেছে। তবে জল কমার সঙ্গে সঙ্গে মানুষজন নানারকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। মহকুমা স্বাস্থ্য প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকায় ধারারাহিক ভাবে মেডিক্যাল ক্যাম্প চলছে। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন মণ্ডল বলেন, ‘পুজোর আগে পর্যন্ত আগামী দু’ সপ্তাহ ওই ক্যাম্পগুলি চলবে। ক্যাম্প থেকেই ওষুধপত্র দেওয়া চলছে।’