বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রেল শহরের বাসিন্দাদের আক্ষেপ, রেল আগেই চিত্তরঞ্জনের সিমজুড়ি, ফতেপুরের বাজার ভেঙে দিয়েছে। সেই এলাকা থেকে প্রায় ছ’কিলোমিটার দূরে মানুষকে জিনিসপত্র কিনতে আমলাদহি বাজারে আসতে হচ্ছে। এরপর এই বাজার ভেঙে দেওয়া হলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে শহরের বাইরে যেতে হবে। রেলের অনুমোদিত কয়েকটি দোকান থাকলে তারা ইচ্ছেমতো দাম নেবে বলেও রেলকর্মীদের আশঙ্কা। বাসিন্দারা আরও জানিয়েছেন, চিত্তরঞ্জনজুড়ে নানা বস্তি উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরজেরে পরিচারিকা থেকে দিনমজুরের আকাল হয়েছে শহরে।
উৎপাদনের নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম রেলইঞ্জিন কারখানা চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস। সিএলডব্লুকে এই উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পিছনে শ্রমিকদের অবদান রয়েছে। ১৯৫০সালে স্বাধীন ভারতে গড়ে ওঠা এই কারখানার শ্রমিকদের জন্য এলাহি ব্যবস্থা করেছিল ভারত সরকার। কারখানা ঘিরে বৃত্তাকারে গড়ে উঠেছিল রেলশহর চিত্তরঞ্জন। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বাজার সবই করা হয় শহরের ভিতর। একসময় ১৮হাজার স্থায়ী কর্মীর এই কারখানায় চাহিদা অনুযায়ী বাজার বাড়তে থাকে। শহরের মূল বাজার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আমলাদহি। শহরের একাধিক বড় থিমের বিগ বাজেটের পুজো হয়। তাতেই মেতে ওঠে শহরবাসী। কেনাকাটার বড় ভরসা থাকে আমলাদহি। এবারও শুরুটা তেমন হলেও শেষে রেলের সিদ্ধান্তে আতান্তরে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েক মাস ধরেই চিত্তরঞ্জনে রেলের বুলডোজার সচেষ্ট। খাটাল নিয়ে মানুষের অসন্তোষ থাকায় তা দিয়েই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেল। তারপর অবৈধভাবে দখল করে রাখা কোয়ার্টার, পরে বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। এবার পুজোর আগেই বাজার উচ্ছেদে তৎপর হল তারা। এত তাড়া কেন? প্রশ্ন তুলেছেন চিত্তরঞ্জন লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত। তিনি বলেন, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইনের গাইডলাইন মেনে যত দ্রুত সম্ভব রেল নিজেদের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরাতে চাইছে। এর মূল লক্ষ্য ফাঁকা হয়ে যাওয়া জমি কর্পোরেট সংস্থার হাতে বিক্রি করে দেওয়া।
রবিবারই সিটু নেতা বংশগোপাল চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন আমলাদহি বাজারের ব্যবসায়ীরা। আইএনটিইউসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন, খাটাল উচ্ছেদ থেকেই জোরদার আন্দোলন শুরু হলে আমাদের এই দিন দেখতে হতো না। সিএলডব্লুর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উত্তমকুমার মাইতি বলেন, পুজোর আগে উচ্ছেদ অভিযান না করার অনুরোধ এসেছিল। আমরা লিখিতভাবে জেলাশাসককে জানিয়েছি, তা সম্ভব নয়। বৈধ ১১০০টির বেশি দোকান আছে শহরে। সেখানেই মানুষ কেনাকাটা করবে। -নিজস্ব চিত্র