বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই ঈশানচণ্ডীতলায় হল্ট স্টেশনটির উদ্বোধন হয়েছিল। উদ্বোধনের আগে থেকেই ওই স্টপেজে সকাল-বিকাল আপ ও ডাউনে দু’জোড়া করে ট্রেন দাঁড়াত। এলাকার বাসিন্দারা ভেবেছিলেন পরে আরও লোকাল ট্রেন থামবে। কিন্তু আজও দু’জোড়া ট্রেনই থামছে স্টেশনে। এলাকার বাসিন্দা মীর আব্দুল সাহাদ বলেন, ট্রেনে দুর্গাপুর বা বর্ধমান যেতে আমাদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। আমাদের স্টেশনে ট্রেন থামে না বলে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে খানা জংশন স্টেশনে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। এই পথ যাওয়ার মাধ্যমও সেভাবে নেই। সেচ খালের বাঁধের উপরে সাইকেল নিয়ে বা হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, আসানসোলগামী দু’টি লোকাল ০৩৫৩৫ ও ০৩৫৩৭ যথাক্রমে সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে ও বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে থামে। আর বর্ধমানগামী ০৩৫৩৪ ও ০৩৫২০ সকাল ৭টা ৪৭ মিনিট ও বিকেল ৩টে ৩৯ মিনিটে থামে। কিন্তু সারাদিনে আর কোনও ট্রেনই থামে না। স্থানীয় বাসিন্দা অজয় মণ্ডল, ইমরান মোল্লা বলেন, খানো, পিলগ্রাম, জয়কৃষ্ণপুর, তারানগর, উড়া, বড়সোনা, ছোটমুড়িয়া, ডালিমগড়িয়া, ভুড়ি সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা এই স্টেশনের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু থামে মাত্র দু’টি ট্রেন। এলাকার অনেকেই বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান। অনেকে দুর্গাপুর, আসানসোলে নিয়মিত কাজ করতে যান। কিন্তু সব ট্রেন না থামায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, সাধারণ কাজেও বর্ধমান বা দুর্গাপুর যেতে হলে বেশি টাকা খরচ করে বাসে যাতায়াত করতে হয়। বর্ধমান, দুর্গাপুর লাইনে যাওয়া পড়ুয়া এবং ছানার ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ঈশানচণ্ডী মায়ের দোল উৎসবে চারদিন প্রায় সমস্ত লোকালেরই স্টপেজ দেওয়া হতো। এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমকে আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। গলসি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হেমন্ত পাল বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের খুবই অসুবিধা হয়। প্রশাসনিকভাবে একাধিকবার রেলকে জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আসানসোল ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, ট্রেন স্টপেজ দেওয়ার বিষয়টি ডিভিশন থেকে ঠিক করা হয় না।