বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গুসকরা-মানকর রাস্তার উপর অভিরামপুর বাজার। এখানেই বাস থামে। কিন্তু প্রতীক্ষালয় না থাকায় সমস্যা হচ্ছে যাত্রীদের। তাঁদের দাবি যাত্রী প্রতীক্ষালয় করা হোক। গুসকরার বাসিন্দা সুনীল ঘোষ বলেন, অভিরামপুর বিএলএলআরও অফিসে কাজে এসেছিলাম। গুসকরা যাওয়ার বাসের জন্য দুপুরে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকায় রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে গিয়ে শরীর খারাপ করছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, অভিরামপুর এলাকাটি জনবহুল। পাশাপাশি এখানে বড় বাজার থাকায় নিকটবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা এই বাজারের উপর নির্ভর করেন। অনেকেই বাসে করে বাজার করতে আসেন।
বাসযাত্রী সুফল কোনার বলেন, অভিরামপুরের উপর দিয়ে দিনে ৪০টির বেশি বাস চলে। গুসকরা ছাড়া বেনাচিতি, দেবশালা, বর্ধমান যাওয়ার একাধিক বাস অভিরামপুরের উপর দিয়ে যায়। আবার আসানসোল থেকেও বহু বাস আসে। যাত্রীদের ভিড়ও থাকে। অথচ কোনও প্রতীক্ষালয় নেই। স্থানীয়রা জানান, একাধিক লোকাল বাস ছাড়াও, সরকারি বাস ও দূরপাল্লার বাস চলে। পারাজ, কোলকোল হয়ে বর্ধমান এবং বোলপুর, শিউলি হয়ে বর্ধমান যাওয়ার এই দু’টি রুটেই বাস চলে। সেই বাসও অভিরামপুরের উপর দিয়ে যায়। মানকরগামী বাসের যাত্রী অলোক চক্রবর্তী বলেন, প্রতীক্ষালয় না থাকার জন্য রাস্তার ধারে দোকানে অনেকে দাঁড়াতে যান। এতে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হয়।
এলাকায় রয়েছে এড়াল অঞ্চল উচ্চ বিদ্যালয়। জানা যায়, বিদ্যালয়ে পড়তে জামতাড়া, সুয়াতা, গোন্না, দিগনগর, উচ্চগ্রাম প্রভৃতি একাধিক গ্রাম থেকে বহু পড়ুয়া আসে। মূলত বাসের উপর ভরসা করেই চলে যাতায়াত। কিন্তু যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকার জন্য পড়ুয়াদের রোদ, বৃষ্টিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাঞ্চন পাল বলেন, পড়ুয়াদের খুবই অসুবিধা হয়। প্রতীক্ষালয় হলে পড়ুয়া সহ এলাকার সকলের সুবিধা হবে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি কর্মী মেঘনাদ পাল বলেন, প্রশাসনের অবিলম্বে নজর দেওয়া জরুরি। এড়াল পঞ্চায়েতের প্রধান পানো মাড্ডি বলেন, ওখানে জায়গা নেই। তাই প্রতীক্ষালয় করা যাচ্ছে না। আউশগ্রাম-২ ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, প্রতীক্ষালয়ের জন্য জায়গা খোঁজ করা হচ্ছে।