বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
গলসির রুবি মণ্ডল বলেন, কালো ধান ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। কখনও কখনও দাম আরও বাড়ে। এক সময় এই ধানের বাজার পাওয়া নিয়ে চিন্তা ছিল। কিন্তু এখন সরকার বিভিন্ন জায়গায় মেলা করে। সেখানে স্টলে কালো চাল বিক্রি হয়। আরএক গৃহবধূ সাহেরা বেগম বলেন, ধান বীজ রোপণ করার পর বিশেষ সারের দরকার হয় না। জৈব সার দিলেই হয়। সেটাও বাড়িতেই তৈরি করা হয়। সময় মতো জমিতে জল দিলেই ভালো ফলন হয়।
চাষিদের এই ধান চাষে প্রশিক্ষণ দেন সঙ্গীতা মালিক। তিনি বলেন, আনন্দধারা প্রকল্পে আমাদের নিয়োগ করা হয়েছে। নদীয়া থেকে ধান চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিলাম। পরে জেলার অন্যান্য মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই ধান চাষ করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি চাষিদের হাতেকলমে শেখানো হয়। আরএক প্রশিক্ষক কৃষ্ণা পাল বলেন, এই ধানে গুণাগুণ রয়েছে। কপার জিঙ্ক, ফাইবারের মাত্রা বেশি। যাঁদের পেশার বা সুগার রয়েছে, তাঁরা এই ধানের চাল খান। সেই কারণেই কালো চালের দাম সবসময় বেশি পাওয়া যায়।
গৃহবধূরা বলেন, রাইসমিলে এই ধান থেকে চাল তৈরি করা যায় না। ঢেঁকিতে চাল তৈরি করতে হয়। অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তবে দাম ভালো পাওয়ায় পরিশ্রম করতে সমস্যা হয় না। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মণ্ডল বলেন, কালো ধানের চাষের এলাকা বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই চাল বাইরেও রপ্তানি হয়। তাই ফলন বেশি হলে চাষিরা লাভ বেশি পবেন। মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য আনন্দ ধারা প্রকল্পে এই ধান চাষ করানো হচ্ছে।
গৃহবধূ রুবি মণ্ডল বলেন, দেড় বিঘা জমিতে এই ধান চাষ করেছি। কেউ কেউ দু’বিঘা জমিতেও ধান রোপণ করেছেন। লাভ ভালো পাওয়ায় মহিলাদের মধ্যে কালো ধান চাষ করার প্রবণতা বাড়ছে। এই চালের ভাত খাওয়া হলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অনেকে বাড়িতেও এই চাল খাচ্ছেন। তবে গুণ ভালো হলেও কালো চালের স্বাদ ততটা ভালো নয়।