হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, সিউড়ি: সিউড়ি শহরের আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠছে বহুতল ফ্ল্যাট বাড়ি। পুরনো বাড়িগুলি ভেঙে সেই জায়গায় মাথা তুলছে আবাসন। কলকাতা ও জেলার প্রমোটাররা এই কাজে যুক্ত। কিন্তু এইসব বহুতল কি আইন মেনে তৈরি হচ্ছে, উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আগামী জুলাই মাসে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অভিযান শুরু করতে চলেছে সিউড়ি পুরসভা। সেই অভিযানে পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে থাকবেন ইঞ্জিনিয়াররাও। জানা গিয়েছে, শহরের বেশিরভাগ পুরনো বাসিন্দা তাঁদের বিশালাকার বাড়ি আর ধরে রাখতে চাইছেন না। সেই বাড়ি তাঁরা প্রমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। বিনিময়ে মোটা টাকার পাশাপাশি পাচ্ছেন এক বা একাধিক মনের মতো ফ্ল্যাট। একইভাবে শহরের প্রধান রাস্তার ধারে তৈরি হচ্ছে বড় বড় শপিং মল, শোরুম ইত্যাদি। কিন্তু এইসব বহুতল, শপিংমলগুলি সরকারি আইন মেনে তৈরি হচ্ছে কি না এবং নির্ধারিত গুণমান বজায় থাকছে কিনা এই বিষয়গুলি নিয়ে মাঝে মাঝেই নানান প্রশ্ন উঠছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব আবাসন বা শপিং মলগুলিতে নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ উঠছে। আবাসনগুলি বেআইনি জমির ওপর তৈরি করা হচ্ছে কিনা সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখবে পুরসভা। শহরের ডাঙ্গালপাড়া এলাকা, এসপি মোড়, সুভাষপল্লি, সাজানো পল্লি, কলেজ পাড়া থেকে শুরু করে সর্বত্র বৃহদাকার বাড়ি ভেঙে ফেলে অবাধে তৈরি হচ্ছে আবাসন। তবে সাধারণ মানুষের দাবি, এই অভিযানে পুরসভার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে তদন্তে হওয়া দরকার। কারণ সিউড়ি পুরসভার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রমোটিং ব্যবসার সঙ্গে বকলমে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠছে। তাই স্বচ্ছভাবে তদন্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন বলে দাবি সাধারণ মানুষের। সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বছর পাঁচেক ধরে সিউড়ি শহরে রমরমিয়ে প্রমোটিং চলছে। তৈরি হচ্ছে প্রচুর নতুন আবাসন। এই আবাসনগুলি কতটা বৈধ এবং সেগুলির গুণমান ঠিক কিনা সেই বিষয়টি দেখার জন্য অভিযান করা হবে। জুলাই মাসের প্রথম দিকেই শুরু হবে এই অভিযান। সেই অভিযানে জন প্রতিনিধিদের পাশাপাশি থাকবেন পুরসভা ইঞ্জিনিয়াররাও।
