হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে নলকূপ খারাপ থাকার অভিযোগ তুলছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, নলকূপগুলি থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে জল পড়ছে না। নলকূপগুলি খারাপ থাকার কারণে এই তীব্র গরমে জলকষ্টে ভুগছেন এলাকার মানুষ। খুব শ্রীঘ্রই যাতে জলের সমস্যা মেটে তার জন্য বিডিওর কাছে অভিযোগ জমা করেছেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুরের বিডিও অফিসে লক্ষ্মীনারায়ণপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জল না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে আসেন। লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধর্মরাজ মন্দিরের কাছের নলকূপটি এক সপ্তাহ ধরে অকেজো হয়ে আছে। গ্রামে কয়েকদিন পরই ২৪ প্রহরের অনুষ্ঠান রয়েছে। এই অবস্থায় এলাকার মানুষ জল পাচ্ছেন না। নলকূপটি দ্রুত সারাই করার আবেদন জানান তাঁরা। একই অভিযোগ ওই গ্রামেরই বাউরি পাড়ার বাসিন্দাদের। এছাড়াও বনহরি গ্রামের কালীমন্দিরের সামনে নলকূপটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। এরকম একাধিক অভিযোগ নিয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, বেশ কয়েকটি নলকূপ খারাপ থাকার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভোটের দোহাই দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এইসময়ে কোনও কাজ হবে না বলে প্রশাসনের একাংশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্লকের বিডিও রাজা আদক বলেন, গরমে মাটির নীচের জলের স্তর অনেকটাই নেমে গিয়েছে। আমরা সার্ভে করেছি। যেসব এলাকা থেকে অভিযোগগুলি এসেছে সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত অফিস থেকে নলকূপগুলি ঠিক করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনিতে সজলধারার মতো প্রকল্পের মাধ্যমে জল পৌঁছচ্ছে গ্রামে গ্রামে। তবে শুধু এই অঞ্চলটিই নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। গ্রামের পাশাপাশি শহরগুলিতে জলসঙ্কট আরও চরমে। সিউড়ি সদর শহরেও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জলের সঙ্কট তীব্র। শহরের কেন্দুয়া মোড়ের দিকের মানুষকে টোটোতে করে অন্য জায়গা থেকে জল আনতে দেখা যাচ্ছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, জলের সমস্যা এই গরমে কতখানি রয়েছে। এর পাশাপাশি জলস্তর নীচে রয়েছে এমন ব্লকগুলি যেমন মুরারই, রাজনগর, খয়রাশোল, নলহাটি এইসব এলাকায় দিন দিন জলসঙ্কট তীব্র হচ্ছে। বোরিংয়ের মাধ্যমে ভৌম জল ওঠার পরিমাণ আস্তে আস্তে কমছে। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ছে সাধারণ বাসিন্দাদের উপর। নদী, পুকুরেও জলের গভীরতা কমে গিয়েছে। যতদিন না বর্ষা আসছে ততদিন জলের সমস্যা মেটা দুষ্কর বলেই মত প্রশাসনের আধিকারিকদের।
