হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: মনসাপুজো উপলক্ষ্যে শ্বশুরবাড়িতে এসে পুকুরে ডুবে জামাইয়ের মৃত্যু হল। ইন্দাসের আকুই এলাকার গাবপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম কার্তিক কোলে ওরফে সাহেব। তাঁর বাড়ি হুগলির কামারপুকুরে। শনিবার বিকালে শ্বশুরবাড়ির গ্রামে একটি মনসা মন্দিরে রং করার পর পুকুরে স্নানে নেমে তিনি তলিয়ে যান। পুলিস মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, কামারপুকুরের লাহাবাজারের বাসিন্দা কার্তিক কোলের সোনার দোকান রয়েছে। ইন্দাস থানা এলাকার গাবপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। গ্রামে মনসাপুজো উপলক্ষে ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী সীমা কোলে কয়েকদিন আগে গাবপুরে আসেন। কার্তিকবাবু বৃহস্পতিবার আসেন। পুজো উপলক্ষে গ্রামের মনসা মন্দির রং করা হচ্ছিল। পাড়ার অন্যদের সঙ্গে কার্তিকবাবুও সেই কাজে হাত লাগান। রং করা শেষ হলে বিকালে তিনি অন্যদের সঙ্গেই পুকুরে স্নানে নামেন। কিন্তু জলে ঝাঁপ দেওয়ার পর তিনি আর ওঠেননি। অন্যরা কার্তিকবাবুকে দেখতে না পেয়ে জলে খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর তাঁকে জল থেকে তুলে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর মৃতের স্ত্রী সীমাদেবী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁর শাশুড়ি সহ অন্য আত্মীয়রাও কান্নাকাটি করেন। খবর শুনে কামারপুকুর থেকে কার্তিকবাবুর বাড়ির লোকজন আসেন। মৃতের মামা হীরু পোড়েল বলেন, কার্তিক শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওই পুকুরে আগেও স্নান করেছে। কিন্তু পুকুরটি খনন করার পর গভীরতা বেড়ে গিয়েছে। সেটা ও জানত না। সাঁতার না জানায় সে জলে নামতেই তলিয়ে যায়। রবিবার পুজো দেখে সোমবার সপরিবারে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।
