হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
সদ্য শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। তিনি তালডাংরার বিধায়ক ছিলেন। ভোটের ফল ঘোষণার পরপরই তিনি বিধানসভা ভবনে গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও তালডাংরায় ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করছে নির্বাচন কমিশন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হয়ে থাকে। সেখানে কবে ভোট হবে, তার সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনই নেবে। তবে কমিশনের প্রাথমিক তোড়জোড় থেকে বোঝা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই ফের তালডাংরার ভোটারদের ভোট দিতে বুথমুখী হতে হবে।
উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে তালডাংরা বিধানসভায় এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। এখানে তৃণমূল ভোট পেয়েছে ৯০ হাজার ৭৯০টি। বিজেপির ভোট প্রাপ্তি ৮২ হাজার ৩০৭টি। সিপিএম এখানে ১৬ হাজার ৫২৫ ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ, এই বিধানসভায় তৃণমূল নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির থেকে ৮৪৮৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। তাই ফের এই কেন্দ্র দখলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরে একাধিক নাম ভাসছে। তবে কে প্রার্থী হবেন, তা চূড়ান্ত করবে রাজ্য নেতৃত্ব।
উপনির্বাচনের জন্য কতটা প্রস্তুত রাজনৈতিক দলগুলি? বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, তালডাংরায় উপনির্বাচন যখনই হোক না কেন বিজেপি সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে উন্নয়ন কিছু হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে আমরা পিছিয়ে রয়েছি ঠিকই, উপনির্বাচনে এখানে আমরা জিতব। প্রার্থী অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। তবে লড়াইয়ের যোগ্য প্রার্থীই দেবে দল।
তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, তৃণমূল সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকে। তাই যে কোনও সময়ই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে দল। আমরা বিগত নির্বাচনগুলিতে তালডাংরায় অনেক ভোটে এগিয়ে আছি। তাই উপনির্বাচন যখনই হোক, তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে জিতবেন।