হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
জেলা সদর বহরমপুর থেকে ২৫ কিমি দূরে ইসলামপুর-সাগরপাড়া গ্রামীণ সড়কের ধারেই অবস্থিত ওই হাসপাতাল। হুড়সি, লোচনপুর, পাহাড়পুর, পমাইপুর, হেড়ামপুর, গোয়াস সহ রানিনগর ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকে প্রচুর রোগী ভিড় জমান এই হাসপাতালে। আশপাশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগীদের রেফার করা হয় এখানে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বহির্বিভাগে প্রায়দিনই রোগীর সংখ্যা হাজার ছুঁয়ে যায়। এছাড়াও হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও রোগীর সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি হয়। হাসপাতালে প্রতিদিন কুড়ির বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। তাঁদের মধ্যে অনেক অন্তঃসত্ত্বাও রয়েছেন। অথচ সেই অনুপাতে চিকিৎসক নেই হাসপাতালে। পুরো হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসকের সংখ্যা মাত্র চারজন। তার মধ্যে একজন দন্ত চিকিৎসকও রয়েছেন। সেখানেও প্রতিদিন প্রচুর রোগী ভিড় করেন।
রোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসকের জন্য ভর্তি থাকা রোগীদের অপেক্ষা করতে হয়। একই চিকিৎসককে বিভিন্ন বিভাগ দেখতে হয়। সেই কারণে বারবার ওয়ার্ডে গিয়ে রোগী দেখতে সমস্যায় পড়তে হয়। দীর্ঘক্ষণ অন্তর অন্তর ওয়ার্ডে যান চিকিৎসক। মাঝে মাঝে একই সময়ে বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগ সামলাতে হয় একজন চিকিৎসককেই। এতে রোগীদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। রোগীর চাপ থাকার কারণে বেশি সময় ধরে রোগী দেখতেও পারেন না চিকিৎসকরা। চিকিৎসার পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে হাসপাতাল চালানো ও সাফসুতরো রাখতেও কর্তৃপক্ষকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। ফান্ডের সমস্যার কারণে হাসপাতাল চত্বর, শৌচাগার অপরিষ্কার থাকে।
পুরো বিষয়ে রানিনগর ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক আব্দুর রউফ বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক কম রয়েছেন। আরও কয়েকজন নার্সেরও প্রয়োজন আছে। সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি, দ্রুত চিকিৎসকের সমস্যার সুরাহা হবে। চিকিৎসক, নার্স ঠিকঠাক থাকলে মানুষকে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া যাবে।