নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: আজ কুরবানি ঈদ। সাবেক নবাবি মুলুক উদযাপনের জন্য সেজে উঠেছে। মসজিদ এবং ঈদগাহগুলিকে যত্ন সহকারে আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। রবিবার শেষ বেলায় বাড়তি উন্মাদনার সঙ্গে বাজারে ভিড় জমালেন মানুষ। নতুন জামা কাপড় কেনার পাশাপাশি মুদিখানার দোকান, সব্জি বাজার এবং ফলের দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশপাশি ঘর সাজানোর জিনিস কিনলেন অনেকেই। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনের পর জয়ী তৃণমূল সাংসদরা ঈদ উপলক্ষে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বার্তা দিচ্ছেন। ঈদের দিন যাতে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, তাই মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুর পুলিস জেলায় প্রতিটি মসজিদ এবং রাস্তাঘাটে বাড়তি পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তাঘাটে বেপরোয়া বাইক না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে বিভিন্ন মসজিদ এবং ঈদগাহ থেকে। ইমাম এবং মুয়াজ্জিনরা অভিভাবক অভিভাবিকা এবং যুবক-যুবতীদের বাইক এবং স্কুটি চালানোর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করেছেন। জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, সকলে যেন শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে ঈদ উৎসবে মেতে ওঠেন। যুবকরা যেন বেপরোয়া ভাবে বাইক না চালায়। কারণ, সকলে পরিবারের সঙ্গে ঈদের উৎসবে মেতে উঠুন, এটাই চাই। বেপরোয়াভাবে বাইক চালিয়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে উৎসব তো খারাপ হবে, পাশাপাশি গোটা পরিবারের উৎসব নষ্ট হবে। তাই আমরা সকলকে অনুরোধ করছি, যেন সকলে ট্রাফিক আইন মেনে নিজের দায়িত্ব এবং অপরের সুরক্ষার কথা ভেবে রাস্তায় বের হয়। বাইক চালালে অবশ্যই মাথায় হেলমেট পড়ুন এবং গাড়ির কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, কুরবানি ঈদের জন্য সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এদিনও সকাল থেকে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সারব। প্রচুর মানুষের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে। খুশির উৎসবে একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করাটাই তো রীতি এবং রেওয়াজ। সারা বছর যেমন মানুষের পাশে থাকি এই উৎসবের দিনও মানুষের পাশে থেকে সঙ্গে ঈদ উদযাপন করব। গোটা জেলা এবং বাংলার মানুষকে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে এই ঈদ উৎসবে মেতে ওঠার জন্য অনুরোধ রইল।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, সকলে এই খুশির উৎসবে শামিল হবেন। তবে অবশ্যই নিজের আনন্দ যাতে অন্যের নিরানন্দের কারণ না হয়, সেদিকে আমাদের সকলের নজর থাকবে।
অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা প্রতিটি মসজিদ এবং ঈদগাহ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিয়েছি। প্রতিটি এলাকায় যাতে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় থাকে, সেজন্য বারবার সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে বেশ কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেগুলি যথাযথভাবে পালন করার জন্য, যেন অন্য কারও কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য আমরা প্রচার করছি।