হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের তরফে কৃষি ব্যবস্থা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ধান চাষের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য চাষিদের উৎসাহ দিচ্ছে জেলা কৃষিদপ্তর। ইতিমধ্যেই জেলার প্রতিটি ব্লকে ধান চাষের প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন চাষিরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কৃষিতে স্বনির্ভর হওয়ার কথা বলেছেন। চাষের জন্য জলের জোগান বাড়াতে ইতিমধ্যেই জেলায় ৫০টি চেকড্যাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও জলসেচ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় ধান চাষের পরিমাণ বেড়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় খরিফ মরশুমে সাত লক্ষ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। জেলায় ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে জলসেচের ব্যবস্থা আছে। সেই জমির ৪০ শতাংশ অংশে আলু সহ বিভিন্ন সব্জির চাষ হয়। বাকি জমিতে ধান চাষ হয়। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, টানা রোদে মাটি একেবারে শুকিয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ায় চাষে সুবিধা হবে। এবার টানা বৃষ্টি হলে বীজতলা তৈরিতে চাষিরা সুবিধা পাবেন। তিল চাষেও ভালো সাফল্য মিলেছে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাতপাটি এলাকার চাষি বাসুদেব মাহাত বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় অনেকটাই উপকার হল। বীজতলা করতে সুবিধা হবে। আরও কয়েকদিন মাঝারি বৃষ্টি হলে খুব ভালো হবে।
জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক অজয় শর্মা বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় চাষিদের সুবিধা হবে। বৃষ্টিটা চাষিদের কাছে আশীর্বাদ। এবছরও রেকর্ড পরিমাণে ধান চাষ হবে বলে আশাবাদী। এমন আবহাওয়া আরও বেশ কিছুদিন থাকলে ভালো হবে। চাষিদের সবরকম সহযোগিতা করবে কৃষিদপ্তর।