বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়া, ১৭টি এটিএম কার্ড ও সাতটি মোবাইল পুলিস উদ্ধার করেছে। ধৃতদের শনিবার বহরমপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, এটিএম কার্ড দিয়ে অভিনব কায়দায় টাকা তুলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করত এরা। কিন্তু কীভাবে পুরো প্রক্রিয়া চালাত-সেবিষয়ে এখনও তারা মুখ খোলেনি। পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন, এই গ্যাংটি ঠিক কী পদ্ধতিতে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিত।
এক পুলিস আধিকারিক জানান, ধৃতদের অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তারা লোকজনকে ফোন করে এটিএম কার্ড থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। কিন্তু পুরো পদ্ধতিটি কীরকম, তা জানতে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার গভীর রাতে হরিহরপাড়া থানার গজনিপুর এলাকায় নাকা চেকিং চালাচ্ছিল পুলিস। তখন একটি গাড়িতে ওই পাঁচ যুবক নওদার দিক থেকে আসছিল। তাদের কাছে প্রচুর নগদ টাকা ও বেশ কিছু এটিএম কার্ড, মোবাইল দেখে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এতে একজন অসংলগ্ন কথা বলতে থাকে। তারপরই পুলিস নিশ্চিত হয়, তারা জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই রাতেই হরিহরপাড়ার শ্রীপুর এলাকা থেকে আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, এরা প্রত্যেকে একটি গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করে।
গ্রেপ্তারির খবর শুনে ধৃত যুবকদের পরিবারের লোকজন থানায় এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ওই সমস্ত পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেরা অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত নয়। যদিও পুলিস জানিয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই গ্যাংকে ধরার জন্য রাস্তায় নাকা তল্লাশি শুরু করা হয়েছিল। এই দলটি যে এটিএম প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত, সে ব্যাপারে বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে।