বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটে খড়গ্রাম বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খলিলুর রহমান ভোট পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮৯৭টি। অপরদিকে বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫২৮টি ভোট ও কংগ্রেস প্রার্থী গোলাম মুর্তজা পেয়েছেন ৪৩ হাজার ২২৫টি ভোট। সেদিক দিয়ে এবারের নির্বাচনে গতবারের মতোই বিজেপি এই এলাকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়ে গেল। বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে শাসকদলের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫১ ভোটে। তবে গত লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ৩০ হাজার লিড পেয়েছিলেন শাসকদলের প্রার্থী।
অন্যদিকে, এবারের ভোটে তৃণমূল প্রার্থী, কংগ্রেস প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৭২ ভোটে, যা গত বছরের তুলনায় কয়েক হাজার বেশি। এবারের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। বিজেপি রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
এছাড়াও এলাকার ১৪টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি বালিয়া, মহিষার, কল্যাণপুর১ ও জয়পুর পঞ্চায়েত এলাকায় এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ইন্দ্রাণী পঞ্চায়েতে। বাকি সাদল, ঝিল্লি, পদমকান্দি, এড়োয়ালি, পারুলিয়া, খড়গ্রাম, কীর্তিপুর, মাড়গ্রাম ও কল্যাণপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকায় এগিয়ে রয়েছে শাসকদল।
এদিকে কংগ্রেস প্রার্থীর ফল স্থানীয় নেতৃত্বকে অনেকটাই হতাশ করেছে। দলের পক্ষে যেভাবে ভোট হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে হয়নি বলে দাবি করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। খড়গ্রাম ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, এবছর মানুষ নিজের ভোট নিজেই দিতে পেরেছিলেন। ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছিল। কিন্তু এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই আমাদের মধ্যে ফারাক গড়ে দিল। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের দৌলতে শাসকদলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন বাসিন্দারা। তাই এই ফলাফল মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুখেন বাগদি বলেন, খড়গ্রামে আমাদের ভালো ফল হয়েছে। গতবারের চেয়েও এবছর ভোট বেড়েছে আমাদের প্রার্থীর। কংগ্রেসের মতোই শাসকদলও বলছে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের দৌলতেই বাজিমাত হয়েছে। খড়গ্রাম বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের আশিস মার্জিত বলেন, এই এলাকায় দলীয় প্রার্থীর ভালো ফলের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দারুণ কাজ করেছে। এলাকার কার্যত প্রতিটি পরিবার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। সেই ঋণ বাসিন্দারা শোধ করেছেন ভোট বাক্সের মাধ্যমে।