সংবাদদাতা, রামপুরহাট: জেলাশাসকের নির্দেশে মুরারইয়ে রমরমিয়ে চলা বালি পাচার রুখতে তৎপর হল পুলিস প্রশাসন। বর্তমান সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের জেরে বুধবার বাঁশলৈ নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সন্ধ্যায় অভিযান নামে পুলিস। তাতেই একটি অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টর ধরা পড়ে। যদিও চালক পালিয়ে যায়। মুরারই ১ ব্লকের বিএঽএলআরও প্রণবরঞ্জন সেনাপতি বলেন, অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টর বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই অভিযান জারি থাকবে।
মুরারইয়ের পারকান্দি, সাবাইপুর গ্রামের কাছে বাঁশলৈ নদী থেকে দেদার বালি তোলা হচ্ছে। ট্রাক্টরে সেই বালি বোঝাই করে এলাকা ছাড়াও মুরারই বাজার হয়ে পাইকরের উপর দিয়ে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া বস্তায় ভরে মোটরভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় চোখের সামনেই চলছে পাচার। শাসকদলের মদতেই এই পাচার চলে আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিষয়টি জানার পরই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। মঙ্গলবার সেই খবর প্রকাশিত হয় বর্তমান সংবাদপত্রে। এরপরই বুধবার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামে বিএলএলআরও দপ্তর। তাঁরা যৌথভাবে পারকান্দি, সাবাইপুরে বাঁশলৈ নদী ঘুরে দেখেন। পরে সন্ধ্যায় একটি বালি ভর্তি ট্রাক্টর আটক করেন। যদিও স্থানীয়রা বলছেন, এটা পুলিস প্রশাসনের আইওয়াশ। এতদিন এখানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ চলছে সেটা তো প্রশাসনের অজানা থাকার নয়। একটি ট্রাক্টর ধরে তাঁরা দেখাতে চাইছে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। বাস্তবে প্রচুর সংখ্যক ট্রাক্টরে বালি বোঝাই করে পাচার হয়ে যাচ্ছে।