গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
যাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব ঘোষ বলেন, এখানে বেশিরভাগ টিউবওয়েলের জলেই মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক রয়েছে। যাত্রাপুরের দাসপাড়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষের আর্সেনিক দূষণে মৃত্যু হয়েছে। এখনও প্রতি পরিবারের অনেকে এই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত। আমার পরিবারেও জেঠু, জেঠিমা, কাকা ও এক বোন আর্সেনিকে মারা গিয়েছে। বাবা এখনও অসুস্থ। কিছুদিন আগে বাড়ি বাড়ি ট্যাপকলের সংযোগ দিলেও জল মেলে না।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্যা চাঁদমিরা বিবি জানান, যাত্রাপুর, দাসপাড়া ও কালীগাঙ্গি গ্রামের মানুষকে জলের অভাবে ভুগতে হয়। একসময় টিউবওয়েলের জল খেয়ে অনেকে মারা গিয়েছেন। সমস্যার কথা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ও ব্লক প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে। এখন পিএইচই একটি জলাধার তৈরি করছে। সেই কাজ শেষ হলে মানুষ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
প্রায় ১২ বছর আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর (পিএইচই) ওই গ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য নলকূপ বসিয়েছিল। এছাড়া, প্রশাসনের চেষ্টায় গ্রামে দু’টি সজলধারা প্রকল্প তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন পিএইচইর ট্যাপকল থেকে জল পড়ে না। একটি সজলধারা প্রকল্প সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। অপর একটিতে জল পাওয়া গেলেও তা পানের অযোগ্য। ফলে গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবারকে দূর থেকে আনা জল পান করতে হয়। অথবা জল কিনতে হয়।
গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম মণ্ডল বলেন, আটের দশক থেকে দাবি জানানোর পর একসময় গ্রামে জলের ব্যবস্থা করেছিল পিএইচই। কিন্তু এখন গ্রামের বেশিরভাগ ট্যাপকল থেকে জল পড়ে না। সেকারণে দূরের শীতলীতলার ট্যাপকল থেকে জল আনতে হয়। জল নিতে অনেকে ভিড় করায় মাঝেমধ্যে ঝামেলাও হয়। বহুদিন ধরেই গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক স্কুল যাত্রাপুর তারক শিক্ষানিকেতনে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। স্কুলের টিউবওয়েলের জল পান করা যায় না। স্কুলের কাছে রাস্তার পাশে থাকা ট্যাপকলটিও বন্ধ। স্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার জন্য পাশের বাড়ির টিউবওয়েল থেকে জল আনা হয়। খুদে পড়ুয়ারা সবাই বাড়ি থেকে বোতলে জল ভরে আনে। গরমের সময় জল ফুরিয়ে গেলে তারা মুশকিলে পড়ে। সেজন্য গ্রামবাসী ও পড়ুয়াদের স্বার্থে তাড়াতাড়ি সেখানে পরিস্রুত পানীয় জলের সুব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে।