কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
১৬ বছর আগে বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসিবুর রহমানের সঙ্গে বিহারের নলশন ইসমাইলপুরের বাসিন্দা বিলকিসের বিয়ে হয়। তাঁদের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃতের বাবার বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, বিলকিসের উপরে তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করত। তাঁর স্বামী ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। কিন্তু এক বছর ধরে হাসিবুর পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না। এমনকী সংসারের কোনও খরচও দেন না। দিনমজুরের কাজ করে কোনওরকমে তিন মেয়েকে নিয়ে চলছিল বিলকিসের সংসার। স্থানীয়দের দাবি, হাসিবুর ভিনরাজ্যে আবার বিয়ে করেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ফৈইজুল হক ও স্থানীয় বাসিন্দা হেনা বিবি জানান, এটা খুন ছাড়া কিছু নয়। আমরা সবাই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
পরিজনদের অভিযোগ, গ্রামের এক পরিচিত ব্যক্তি বিলকিসকে কুপ্রস্তাব দিত। বাড়িতে তাঁর যাতায়াত নিয়ে বিরক্ত ছিলেন বিলকিস সহ তাঁর মেয়েরা। বড় মেয়ে বলে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যক্তি আমার মাকে ফোন করে পাড়ার মোড়ে ডাকে। তারপর মা চলে যায়। তারপর রাত গড়িয়ে গেলেও মা বাড়ি ফেরেনি। সকালে বাড়ির পাশেই মায়ের ঝুলন্ত দেহ আমরা দেখতে পাই। বড় মেয়ে আরও বলে, মারা গেল।
বাবা আমাদের খোঁজ নেয় না। আমরা তিন বোন এখন একা একা কেমন করে থাকব। বধূর বাবা আতাবুদ্দিন বলেন, আমার মেয়েকে ষড়যন্ত্র করে মেরেছে। নাতনিরা অনাথ হয়ে গেল। অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই। ইটাহার থানার পুলিস জানিয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য, আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।