গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
টোটোপাড়ায় পিএইচই’র কোনও রিজার্ভার নেই। নলবাহিত চারটি পাম্প রয়েছে। পাইপের মাধ্যমে টোটোপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধনপতি মেমোরিয়াল হাইস্কুল ও বাজার এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। এছাড়া টোটোপাড়ার হাউরি লাইন, কুম্বি লাইন, গায়ত্রী লাইন, কুয়ারগাঁও এবং আয়রং লাইনেও পিএইচই’র জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু তীব্র দাবদাহে জলস্তর নেমে যাওয়ায় টোটোপাড়ায় পাম্প থেকে চাহিদামতো জল উঠছে না। ফলে জল সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। পানীয় জলের এই সঙ্কটে বিপাকে পড়েছেন টোটোপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরাও। টোটোপাড়া ধনপতি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারাও জলের সঙ্কটে ভুগছেন। যদিও এখন স্কুল বন্ধ।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশা বোমজান বলেন, প্রচণ্ড গরমে জলস্তর একেবারে নীচে চলে যাওয়ায় টোটোপাড়ায় পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। পাম্প থেকে পর্যাপ্ত জল উঠছে না। আশা করছি, বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পিএইচই’র পাম্প থেকে আগে দিনে তিনবার জল পাওয়া যেত। এখন দু’বার জল পাওয়া গেলেও, প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। কোথাও কোথাও জলই পৌঁছয় না। টোটো জনজাতির বাসিন্দারা অনেক সময় ভুটানের পাহাড়ি ঝোরার জল দিয়ে তাঁদের প্রয়োজন মেটাতেন। কিন্তু গরমে পাহাড়ও শুকিয়ে যাওয়ায় ঝোরা থেকেও জল মিলছে না। পিএইচই’র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রমিত মিত্র বলেন, পাহাড়ি পাদদেশে জলস্তর নেমে যাওয়ায় টোটোপাড়ায় পানীয় জলের ঘাটতি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।