বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দল আমাকে প্রার্থী করে সম্মানিত করেছে। এবারের লড়াই দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করার লড়াই। সেভাবেই মালদহের দু’টি কেন্দ্রে আমরা সকলে মিলে জোরদার লড়াই করব। দু’টি কেন্দ্রেরই মানুষ আমাদের দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে মুখিয়ে আছেন। এবারের নির্বাচনে মালদহে তৃণমূল কংগ্রেস অবিসংবাদিত দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে। দলের আরেক ঘোষিত প্রার্থী তথা উত্তর মালদহের বর্তমান সংসদ সদস্য মৌসম নুর বলেন, আমাদের নেত্রী আগেই আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দক্ষিণ মালদহ সহ মালদহের দু’টি কেন্দ্রেরই প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। দলীয় তৎপরতা আমাদের বহুদিন থেকেই চলছে। এদিন থেকে তা নূতন মাত্রা পাবে বলা যেতে পারে। আমরা মালদহের দু’টি আসন জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। আর সেই কারণে, আমাদের দলই প্রথম প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
গত জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে উত্তর মালদহের সংসদ সদস্য মৌসম নুর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মৌসম নুরের নামই উত্তর মালদহের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দেন। সেদিন থেকেই দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা চলছিল। তৃণমূলের অন্দরে দলের জয়ের সম্ভাবনার নিরিখে দক্ষিণ মালদহ আসন উপরের দিকেই আছে। ফলে এই আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্যে জেলাস্তরে যেমন তৎপরতা শুরু হয় তেমনি রাজ্য নেতৃত্বও প্রার্থী নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ঝাড়াই বাছাইয়ের পর সম্প্রতি দক্ষিণ মালদহ আসনের জন্যে একজন শিল্পপতি, একজন অভিনেত্রী ও দলের মালদহ জেলা সভাপতির নাম প্রস্তাব হিসেবে ছিল। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণার পরে দেখা যায়, দলনেত্রী দলের জেলা সভাপতির নামেই দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী হিসাবে সিলমোহর দিয়েছেন। প্রাথমিক তালিকায় থাকা ওই শিল্পপতিকে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও অভিনেত্রীকে বসিরহাটে প্রার্থী করা হয়েছে।
দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেলেও ভোটযুদ্ধে থাকার অভিজ্ঞতাকেই মালদহের ক্ষেত্রে দল গুরুত্ব দিয়েছে। একদা পেশাদার চিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেনকে তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৪ সালে দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রে কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরীর(ডালু) বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু সেবার তিনি জিততে পারেননি। এরপরে তাঁকে দলের সভাপতি করে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দল তাঁকে মালদহের মালতীপুরে প্রার্থী করে। সেই নির্বাচনেও তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। কিন্তু দু’দুটি নির্বাচনে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা এবং জেলায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে সভাপতি পদে থেকে সংগঠন সামলানোর অভিজ্ঞতার কারণে এবারও লোকসভা আসনে ঘাসফুল ফোটাতে দল তাঁকেই বাজি করল।
মঙ্গলবার কলকাতায় প্রার্থী ঘোষণা হতেই মালদহে দলের অন্দরে তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। এদিন থেকেই দুই প্রার্থীর জন্যে দেওয়াল লিখন থেকে ফ্লেক্স প্রচারের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা মালদহের একটি আসনেও বিরোধী দলেরা প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। যা নির্বাচনী ময়দানে তৃণমূলীদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, মালদহের দু’টি আসনেই এবার তৃণমূল শক্তপোক্ত ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নির্বাচনী ময়দানে আগেভাগে প্রার্থী নামিয়ে নামিয়ে সেই অবস্থানকেই আরও মজবুত করল তৃণমূল।