বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
তৃণমূলের একাংশের মতে, ফব থেকে মাস ছয়েক আগে পরেশবাবু দলে এসেছেন। দলের অন্দরমহলে এখনও তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও সেভাবে নেই। সেই পরেশবাবুকেই প্রার্থী করা হয়েছে। দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন কাউকে প্রার্থী করা হলে কেউ আপত্তি করতেন না। অন্যদিকে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে রবীন্দ্রনাথবাবুর উপর পূর্ণ ভরসা করেন তা এদিন ফের পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। পরেশবাবু প্রার্থী হলেও আসল লড়াই যে রবীন্দ্রনাথবাবুকেই লড়তে হবে সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ মেখলিগঞ্জের একাংশ বাদ দিয়ে কোচবিহার সংসদ এলাকায় পরেশবাবুর কোনও সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই। সেক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে এই আসনে জয় হাসিল করা জেলা সভাপতির কাছে এবার কার্যত অগ্নিপরীক্ষা।
তৃণমূল যুবর জেলা সভাপতি পার্থবাবু বলেন, দল আমাকে ২০১৬’র উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে সকলের সহযোগিতায় জয়ী হয়েছিলাম। নৈতিকতার প্রশ্নে আমি অবিচল থাকব। নেত্রীকে দেখে দল করি। নেত্রীর আদর্শে চলি। দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করব। কোচবিহার আসনে যাতে তৃণমূল প্রার্থী রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জেতেন সেজন্য বদ্ধপরিকর ভাবে লড়াই করব। ২০১৯য়ে বিজেপি ফিনিশ হবে। দলনেত্রীকে কিছু ভুল বোঝানো হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর দাবি আমি শিক্ষকতা করি। রাজনীতির রং বদলের ব্যাপার নয়। দলের নির্দেশে জেলা যুব সভাপতি হিসাবে যতটা সম্ভব কাজ করেছি। তাঁর অনুগামীরা কি ক্ষুব্ধ? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার অনুগামীর কোনও ব্যাপার নয়। সবাই দলের অনুগামী। দলের সিদ্ধান্ত সবাই মেনে নেবে। দলের সিদ্ধান্ত ১০০ শতাংশ সঠিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিচ্ছি। দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই তিনি কী টিকিট পেলেন না? পার্থবাবু বলেন, রাজনীতি রাজনীতির আঙ্গিকে চলে। আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। আত্মসমালোচনা করব। কোথাও কোনও ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করার চেষ্টা করব। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, নেত্রীর সিদ্ধান্ত সকলকে মানতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। পরেশবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। রায়গঞ্জ থেকে দ্রুত ফিরবেন। তাঁকে রেকর্ড ভোটে জেতাতে হবে।
বাম জমানায় দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন পরেশবাবু। দীর্ঘদিন তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। দিনহাটার কমল গুহের পুত্র উদয়ন গুহ দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও পরেশবাবু দল ছাড়েননি। এরপরেও তিনি ফব’র জেলা সভাপতি ও পরবর্তীতে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। তবে সেই পরেশবাবু গত আগস্টে তৃণমূলে যোগ দেন। দলনেত্রীর গুডবুকে আসার জন্য ব্যাপক তৎপর হয়েছিলেন। নেত্রী কোচবিহার এলেই পরেশবাবুর খোঁজ নিতেন। দলে এসেই পরেশবাবু চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।