হায়দরাবাদ, ২৯ অক্টোবর: মোমো খেয়ে মৃত্যু হল ৩৩ বছর বয়সী এক মহিলার। হায়দরাবাদের বানজারা থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। পাশাপাশি ওই দোকানেরও মোমো খেয়ে ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছেন আরও ১৫ জন। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। পুলিস সূত্রে খবর, মোমো খেয়ে মৃত্যু হওয়া ওই মহিলার নাম রেশমা বেগম (৩৫)। তিনি নন্দীনগরের বাসিন্দা। রেশমা বেগম ও অন্যান্য আরও কয়েকজন দিল্লি মোমোস নামের একটি ফুড স্টল থেকে মোমো খেয়েছিলেন। যেটি নন্দীনগরের বানজারা পাহাড়ের চিন্তল বস্তিতে রয়েছে। মোমো খেয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকেই শরীর খারাপ করতে শুরু করে রেশমা দেবীর। মৃতার পরিজনেরা জানিয়েছেন, মোমো খেয়ে বাড়ি আসার পরই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শরীরে বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। পাশাপাশি বমি, ডায়েরিয়া এবং প্রচণ্ড পেট ব্যথাও শুরু হয়। বাড়ির লোকেরা প্রথমে ভেবেছিলেন বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক ওষুধ খাওয়ার পর সেটি কমে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। দ্রুত শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে তাঁর। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাচ্ছিলেন বাড়ির লোকজনেরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় পরই পুরো বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় থানায় মৃতার পরিজনেরা অভিযোগ জানান। এরপরই খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে হানা দেন পুলিস। ইতিমধ্যেই দোকান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই দোকানের কাছে কোনও ফুড লাইসেন্সই ছিল না। এছাড়া খাবারও তৈরি হত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য ওই দোকানের মোমো খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ ব্যক্তিদের রক্ত এবং মল পরীক্ষার রিপোর্টও সংগ্রহ করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, মাস তিনেক আগেই বিহার থেকে আসা কয়েকজন ব্যক্তি মিলে ওই দোকানটি তৈরি করেছিলেন। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁদের। মোমো স্টলের মালিকের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।