মুম্বই: ভোটের আগে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ চলছে মহারাষ্ট্রে। যদিও আসন সমঝোতা নিয়ে জট রয়ে গিয়েছে প্রতিপক্ষ শিবিরগুলিকে। এরইমধ্যে অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে সমস্যা বাড়ালেন নবাব মালিক। অনুশক্তি নগরের দু’বারের এই বিধায়ক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এবারও তিনি ভোটে লড়বেন। মানুখুর্দ শিবাজি নগরে মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি। অজিতের দলের এই নেতার ঘোষণা বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি সাফ জানিয়েছে, তারা কোনওভাবেই নবাবকে জোট-প্রার্থী হিসেবে মেনে নেবে না। তারপরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় মালিক। এখন তিনি নির্দল হিসেবে, না এনসিপির প্রতীকে প্রার্থী হবেন, তা স্পষ্ট নয়। এনসিপি এব্যাপারে কোনও কিছু খোলসা করেনি। নবাবের মেয়ে সানা মালিককে বাবার আসনে প্রার্থী করেছে অজিতের দল। এই পরিস্থিতিতে নবাবের ভোটে লড়াইয়ের বার্তা রাজ্যের শাসক জোটে টানাপোড়েন বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এসবের মধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন নবাব-কন্যা। অনুশক্তি নগর আসনে অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের স্বামী তথা সমাজবাদী পার্টি (সপা) নেতা ফাহাদ আহমেদকে প্রার্থী করেছে শারদের দল। প্রচারের শুরুতেই পরিচিতি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে কটাক্ষ করেছেন সানা। তিনি বলেছেন, কোনও অভিনেত্রীর স্বামীর পরিচয় থেকে নবাব মালিকের কন্যা পরিচিতি ঢের ভালো।
সানা বলেছেন, ‘নবাব মালিকের মেয়ে হিসেবে আমি গর্বিত। নবাব মালিকের মেয়ে যদি অনুশক্তি নগরের মেয়ে হয়ে ওঠে, তাহলে তা কোনও অভিনেত্রীর স্বামী হওয়ার চেয়ে ভালো।’ এনসিপি প্রার্থীর দাবি, তিনি এলাকার মানুষের জন্য পরিশ্রম করেছেন। এজন্যই মনোনয়ন পেশের সময় এখানকার মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
এসবের মধ্যেই নবাবের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা নিয়ে মযুজুতি শিবিরকে একহাত নিয়েছে উদ্ধব থ্যাকারের দল। শিবসেনা (উদ্ধব)-র মুখপাত্র আনন্দ দুবে বলেছেন, মহাযুতি নবাব মালিককে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ বলত। সেজন্য নবাবকে প্রার্থী না করে তাঁর মেয়েকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এখন তো জানা যাচ্ছে, নবাব মানখুর্দ শিবাজী নগর আসনে লড়াই করতে পারেন। আসলে এই আসনে এমভিএ প্রার্থী আবু আজমির বিরুদ্ধে টক্কর দেওয়ার মতো কাউকে ওরা পাচ্ছে না। সেজন্য এখন ওরা ঘুরপথে নবাবকে সাহায্য করার কৌশল নিয়েছে। পুরো ঘটনায় বিজেপি জোটের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।