প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে বিদ কেন্দ্র থেকে পঙ্কজাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু শারদপন্থী এনসিপির কাছে মাত্র ৬ হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। মারাঠা সংরক্ষণ বিতর্কই জয়-পরাজয়ে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনেও পারলিতে মারাঠা সংরক্ষণ ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই বিষয়টিকে ফের কাজে লাগাতে চাইছে বিরোধী জোট। তাই পারলিতে ‘মারাঠা মুখ’ হিসেবে রাজাসাহেব দেশমুখকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে শারদ পাওয়ারের এনসিপি। মারাঠা আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন দেশমুখ। আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গের পাশেও তাঁকে বহুবার দেখা গিয়েছে। তাই তাঁকে দিয়েই পারলি থেকে মুন্ডে পরিবারকে উত্খাত করতে চাইছে বিরোধীরা। এর সঙ্গে রয়েছে সয়াবিনের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, কৃষক আত্মহত্যা, বেকারত্বের মতো বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শারদ পাওয়ারের কৌশলকে ভোঁতা করার জন্য যে কোনও উপায়ে ওবিসি ভোটকে নিজের দিকে টানতে হবে ধনঞ্জয়কে।
দেশমুখের দাবি, ধনঞ্জয় পারলির কৃষকদের সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ায় ব্যবসায়ীরাও পারলি ছাড়ছেন বলে অভিযোগ তাঁর। দেশমুখ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও, লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাভিত্তিক ফল তাঁকে কিছুটা চাপে রাখতে পারে। পঙ্কজা হেরে গেলেও পারলি থেকে লিড পেয়েছিলেন। একইসঙ্গে গোপীনাথ মুন্ডের ‘প্রভাব’ এখনও সেখানে রয়েছে। তবে দেশমুখের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের অঙ্ক একেবারেই আলাদা।
জয় নিয়ে প্রত্যয়ী ধনঞ্জয়ও। তাঁর মতে, মহারাষ্ট্রে মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ সময়ের সঙ্গে অনেকটাই কমেছে। বিদায়ী বিধায়কের দাবি, লোকসভা ভোটের সময় বিদ আসনে জাতপাতের রাজনীতির প্রভাব পড়াটা একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা। ধনঞ্জয়ের বক্তব্য, ‘মারাঠা সংরক্ষণের জন্য আমার লড়াইকে লোকসভা নির্বাচনের সময় গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। শুধু সংরক্ষণ ইস্যু নয়, কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষোভও ফ্যাক্টর হয়েছিল।’