মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
আইএনএলডির প্রতিষ্ঠাতা ‘তাউজি’ চৌধুরী দেবী লালের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক। কেউ আইএনএলডিতেই আছেন। কেউ তা ভেঙে জেজেপি তৈরি করেছেন। কেউ অতীতে কংগ্রেস থেকে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে ‘তাউজি’র পরিবারের সদস্যদের ভিন্ন ভিন্ন দল থেকে প্রার্থী হওয়ার মধ্যে অভিনবত্ব কিছু নেই। যা নতুন, এই প্রথমবার একই লোকসভা কেন্দ্রে একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন চৌতালা পরিবারের তিন সদস্য। হিসার শহরজুড়ে এটিই অন্যতম চর্চার বিষয়। কারণ, এখানে আপাতত নির্বাচনী জয়-পরাজয় গৌণ। পুরোটাই যেন একটি পারিবারিক যুদ্ধ। পরিবারের দু’জন বধূ এবং কাকাশ্বশুর।হিসারে জেজেপির প্রার্থী নইনা সিং চৌতালা। দুষ্যন্ত চৌতালার মা। দেবী লালের ছেলে ওমপ্রকাশ চৌতালার পুত্রবধূ। আইএনএলডির প্রার্থী সুনয়না চৌতালা। সম্পর্কে তিনি ‘তাউজি’র আরেক ছেলে প্রতাপ চৌতালার পুত্রবধূ। বিজেপি প্রার্থী করেছে রণজিৎ সিং চৌতালাকে। তিনি চৌধুরী দেবী লালের আর এক ছেলে। অর্থাৎ, বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে হিসারে এবারের আইএনএলডি এবং জেজেপির দুই প্রার্থীর কাকাশ্বশুর।
একমাত্র কংগ্রেস এহেন ‘ট্রেন্ড’ মানেনি! তারা প্রার্থী করেছে জয়প্রকাশকে। ১৯৮৯, ১৯৯৬, ২০০৪— জয়প্রকাশ হিসার থেকে তিনবারের সাংসদ। স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা হাসতে হাসতে বলছেন, ‘চৌতালারা নিজের মধ্যে লড়ে যাক। এই ফাঁক গলে আমরা বেরিয়ে যাই।’ বাস্তবে কি তাই? সম্প্রতি হরিয়ানার তিনজন নির্দল বিধায়ক বিজেপি থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। সেইসময় জেজেপি নেতা দুষ্যন্ত ঘোষণা করেছিলেন, যদি আস্থা ভোট হয়, তাহলে তাঁর দল কংগ্রেসকে সমর্থন দেবে। হরিয়ানা বিধানসভার নির্বাচন অবশ্য আরও মাসতিনেক দেরি আছে। কিন্তু লোকসভা ভোটে হিসারে কংগ্রেস এবং জেজেপি একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। ভোট কাটাকাটি হলে গেরুয়া শিবিরের সুবিধে কতটা? তা কতটা প্রভাব ফেলবে বিধানসভায়? এনিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। ভগবান পরশুরাম চকের অদূরে ফিরোজ শাহ প্যালেস নামে যে কেল্লার ভগ্নাবশেষ এখন অবশিষ্ট, তার সামনে দাঁড়িয়ে অঙ্কিত কাদিয়ান বলছিলেন, ‘আসলে দুষ্যন্ত চৌতালার মধ্যে তাউজির ছায়া দেখেন অনেকে। চেহারা, কথা বলার ভঙ্গি অনেক কিছুই মিলে যায়। ফলে তিনি যা বলবেন, তার একটা প্রভাব কিন্তু পড়বেই।’ গুরু তেগবাহাদুর মার্গ দিয়ে বেরিয়ে যেতে গিয়েও মুহূর্তকাল থমকে যায় নইনা সিং চৌতালার গাড়ি। প্রচার শেষ যদিও। ফিরছেন দলের নির্বাচনী কর্যালয় থেকে। গাড়ির দরজা সামান্য খুলে হাত নাড়েন হাসিমুখে। জনতা তাতেই উদ্বেলিত। আজ তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন হরিয়ানার মানুষ।