মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
২০২২ সালে বদলে যায় ছবিটা। বিধানসভা নির্বাচনে মইনপুরীর কারহাল কেন্দ্র থেকে জেতেন অখিলেশ যাদব। আজমগড়ে উপ নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হন ধর্মেন্দ্র যাদব। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন বিজেপির দীনেশলাল যাদব। মাত্র ৮ হাজার ৬৭৯ ভোটে তিনি হারিয়ে দেন অখিলেশের তুতো ভাই ধর্মেন্দ্রকে। পদ্ম ফোটে আজমগড়ে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্ত ঘাঁটিকেই পুনরুদ্ধারে মরিয়া অখিলেশ। লড়াইয়ে বহুজন সমাজ পার্টির মাসুদ সাবিহা আনসারি, জন রাজ্য পার্টির পরশ যাদব থাকলেও আজমগড়ে সমাজবাদী পার্টির মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গেই। বিদায়ী সাংসদ নিরাহুয়াকে হারাতে অখিলেশের বাজি ধর্মেন্দ্রই।
রাজনৈতিক মহলের মত অবশ্য আলাদা। আজমগড় সমাজবাদীর শক্তিশালী ঘাঁটি হলেও ২০২২ সালের পর এই কেন্দ্রের ভোট সমীকরণ অনেকটাই বদলেছে। মানুষকে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের গুরুত্ব বোঝাতে কোনও খামতি রাখেনি বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত, গরিব কল্যাণ যোজনার মতো একাধিক সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ওই কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। সঙ্গে রয়েছে রামমন্দিরের প্রভাবও। আজমগড়ের জনমত বরাবরই ছিল যাদব সম্প্রদায়ের সঙ্গে। জনকল্যাণমূলক নানান কাজের মধ্যে দিয়ে বিজেপি এই যাদব ভোটের বড় অংশই নিজেদের দিকে টানতে সমর্থ হয়েছে। মুসলিম ভোটও এই কেন্দ্রে একটা বড় ফ্যাক্টর। এলাকার দলিত বা মুসলিমদের মধ্যে রামমন্দির নিয়ে বিশেষ কোনও হেলদোল নেই। এই দুই সম্প্রদায়ের ভোট সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতেই যাবে বলে অনুমান রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের।
এবারের ভোটপ্রচারে আজমগড়ের ইতিহাসকেও টেনে আনছে গেরুয়া শিবির। আমেদাবাদ বিস্ফোরণের পর যে আজমগড়কে জঙ্গিদের ঘাঁটি বলে মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল, সেই তকমা মোদি-যোগীর দৌলতেই মিটেছে বলে দাবি বিজেপির। অন্যদিকে, মুন্দ্রি বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়া সেখানে শাসকদলের জন্য বড় ইস্যু। সপা প্রার্থীর পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের কাছে এমনই নানা ইস্যু তুলে ধরছেন। শুধু তাই নয়, কর্মসংস্থানের অভাব নিয়েও মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। কাজের খোঁজে দিল্লি, মুম্বই, সুরাত, গুজরাতের মতো বড় শহরে ছুটতে হয় আজমগড়ের যুবকদের। কেন্দ্র-রাজ্যের এহেন নানা ব্যর্থতাকেই এবারের প্রচারের মূল অস্ত্র করেছে সমাজবাদী পার্টি।
আগামী ২৫ মে ষষ্ঠদফার নির্বাচনে এই কেন্দ্রের ভাগ্য নির্ধারণ। তিনবারের সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব বনাম ভোজপুরী ছবির তারকা দীনেশলাল যাদব নিরাহুয়ার লড়াই একে অপরের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জের, উত্তর মিলবে ৪ জুন।