হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
অন্যদিকে, কমিশনের যুক্তিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে বৃহস্পতিবার সুর চড়ালেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কপিল সিবাল। কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভিও। উভয়েরই সমালোচনার তির নির্বাচন কমিশনের দিকে। কপিল সিবাল বলেন, কমিশনের যুক্তি কোন বুথে কত ভোট পড়েছে, তা প্রকাশ করার নাকি কোনও আইনি ব্যবস্থাই নেই। এর চেয়ে আশ্চর্যের আর কী আছে। ভোটের ফল প্রকাশে যদি কোনও বাধা না থাকে, তাহলে ১৭-সি-র তথ্য জানাতে আপত্তি কোথায়? এই প্রশ্ন তুলে সিবালের আরও খোঁচা, ‘এই কমিশনকে কি আদৌ বিশ্বাস করা যায়?’
একইভাবে অভিষেক মনু সিংভি এআইসিসিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মামলায় কমিশনের হলফনামা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়। হাস্যকর। প্রার্থীর বুথ এজেন্টের কাছে থাকে ফর্ম ১৭-সি। সেখানে কোন বুথে কত নম্বর ইভিএমে কত ভোট পড়েছে, তা রেকর্ড করা হয়। প্রার্থীরা চাইলেই তা প্রকাশ করে দিতে পারে। কিন্তু ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার ফর্ম ১৭-সি আপলোড করা রাজনৈতিক দলের পক্ষে যতটা না সুবিধাজনক, তার চেয়ে অনেক বেশি নির্বাচন কমিশনের। তাই আমরা চাই কমিশন তার ওয়েবসাইটে তা দিক। তাহলে বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকে। এর সঙ্গে ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাতের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? আসলে কিছু গোপন করতে চাইছে কমিশন। অভিযোগ করেন সিংভি। আর এই পরিস্থিতিতেই আগামী কাল ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে আজ, শুক্রবার সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি।
অন্যদিকে, আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি পর্বে প্রচারের সতর্কতা ইস্যুতে সিংভি কমিশনকে এক হাত নেন। বলেন, নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। যা নিয়ে আমরা কমিশনে অভিযোগও করেছি। কিন্তু সেই অভিযোগের এক মাস পর কমিশন স্রেফ উপদেশ দিয়ে ছেড়ে দিল। সরাসরি মোদি-শাহর নাম নিতে কেন এত ভয় কমিশনের? সাংবিধানিক সংস্থা কি তবে শাসকদলের সরকারি সংস্থায় পরিণত হয়েছে? আর তা যদি হয়, তাহলে গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর বলেই দাবি করেন সিংভি।