মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শিবির বদলালেও তনওয়ারের লড়াই এবারও সহজ নয়। নেপথ্যে সেই কৃষকদের বিক্ষোভ। প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, বাস ভর্তি পুলিস নিয়ে প্রচারে যেতে হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীকে। তাতেও কয়েক জায়গায় কালো পতাকা দেখতে হয়েছে তাঁকে। কৃষকদের ইস্যু তাই গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে তনওয়ারের। তাই ওই প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিভিন্ন জনসভায় ‘সব কা বিকাশ’ স্লোগান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ, অযোধ্যায় রামমন্দিরের মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করছেন তিনি। পাশাপাশি সাংসদ থাকাকালীন কাজকর্মের ফিরিস্তিও শোনাচ্ছেন তনওয়ার।
অন্যদিকে, তনওয়ারকে টক্কর দিকে এই আসনের দু’বারের সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেলজাকে তাঁর পুরোনো আসনে ফিরিয়ে এনেছে কংগ্রেস। গতবার আম্বালা থেকে লড়াই করে জিততে পারেননি তিনি। এবার সিরসায় ফিরে প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। কৃষকদের জন্য দলের প্রতিশ্রুতির পাশপাশি মোদি সরকারের কথার খেলাপ নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন কংগ্রেস প্রার্থী। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ‘জুমলা’, আবাস যোজনায় ব্যর্থতা ও রান্নার গ্যাসের দামবৃদ্ধির মতো বিষয় নিয়ে প্রচারে জোর দিচ্ছেন তিনি। দুই আঞ্চলিক দল জেজেপি ও আইএনএলডি-ও এখানে লড়ছে। তবে এখানে লড়াইটা মূলত শেলজা ও তনওয়ারের।
শেলজার দাবি, হরিয়ানার মানুষ মোদি সরকারের উপর ক্ষুব্ধ। কৃষকরা উন্নয়ন চায়, তরুণরা চায় চাকরি আর গরিবরা সরকারি সুবিধা। কিন্তু তার বদলে মিলছে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি আর দুর্নীতি। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমে ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একেই কি আচ্ছে দিন বলে? পালটা জবাব দিচ্ছেন তনওয়ারও। তাঁর দাবি, হরিয়ানার গ্রামে গ্রামে মেধার ভিত্তিতে চাকরি হয়েছে। আর যারা চাকরি পেয়েছে তারা বিজেপিকেই ভোট দেবে। নরেন্দ্র মোদির ধারেকাছে কেউ নেই বলেও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
গম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত সিরসার উর্বর মাটিতে ফের একবার পদ্ম ফুটবে, নাকি ২০০৯ সালের পর ফের কংগ্রেস জিতবে, সেদিকেই নজর সকলের।