মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
উপরের এই চিত্র ব্যতিক্রমী কোনও উদাহরণ নয়। বরং রোহতকজুড়ে এটাই ছবি। হরিয়ানার এই লোকসভা কেন্দ্র ঘুরে একটি বিষয় দিনের আলোর মতো স্পষ্ট—পাঁচ বছর আগে এই লোকসভা আসনটি জিতলেও রোহতক ‘দখল’ করতে কার্যত ব্যর্থ বিজেপি। কারণ, রোহতক আক্ষরিক অর্থেই হুডা-ময়! সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয়, বিজেপির সুপরিচিত স্লোগানই রোহতকে পাল্টে দিয়েছে কংগ্রেস তথা মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। স্লোগানে ‘আব কি বার’-এর সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে ‘হুড্ডা সরকার’ শব্দবন্ধ। বলা বাহুল্য, লোকসভা নির্বাচনের মাসতিনেকের মাথায় হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শুরুও এই স্লোগানেই করতে চাইছে কংগ্রেস। আর তাই রোহতকের দিল্লি বাইপাস রোডে যেখানে কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয়, সেখানে দীপেন্দ্র সিং হুডার প্রমাণ সাইজের ছবি এবং ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘সঙ্কল্প’-র কথাও। যে শব্দটি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারংবার ব্যবহার করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
ব্যানারের শুরুতেই ‘মেরা সঙ্কল্প’। নীচে লেখা, ‘না বেরোজগারি হো, না হো মেহঙ্গাই কি মার/আব কি বার কংগ্রেস কি সরকার।’ লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে বার্তাটি অত্যন্ত স্পষ্ট। দীপেন্দ্র হুডা রোহতকে শুধুমাত্রই একজন প্রার্থী নন। তিনি এলাকাবাসীর ‘ভাই’। প্রচার-ব্যানারে তাই সর্বত্রই ‘ভাই দীপেন্দ্র সিং হুড্ডা’র আশ্বাস। বিজেপির কাছে এটাই সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ। দিল্লি বাইপাস রোডে কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছেই বিজেপির অফিস। সেখানে অন্যতম চর্চার বিষয়ই হল, দলের প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ অরবিন্দ শর্মা কেন রোহতকের নিজের লোক হতে পারলেন না? বিজেপির কাছে রহস্য, কোন মন্ত্রে সাংসদ না থেকেও রোহতকে চরম দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে হুডা পরিবার!
আর এহেন প্রশ্নেই উঠে আসছে ‘তাউজি’ দেবী লালের প্রসঙ্গ। মৃত্যুর ২৩ বছর পরেও যিনি রোহতক তথা তামাম হরিয়ানায় ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দেশের প্রাক্তন উপ প্রধানমন্ত্রী, সর্বজনবিদিত কৃষক নেতা, আইএনলডি দলের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী দেবী লালের প্রপৌত্র দুষ্যন্ত সিং চৌতালা যতই জেজেপি দল গঠন করুন না কেন, হরিয়ানায় আজও ‘তাউজি’র নামেই ভোট চান রাজনৈতিক দলের কারবারিরা। এবারও রোহতকের গ্রামাঞ্চলে সেই ‘তাউজি’র নামে বিজেপি বিরোধী ভোট নিশ্চিত করতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি। রামগোপাল কলোনির বাসিন্দা যসবীর সিংয়ের স্পষ্ট উত্তর, ‘তাউজি তো হ্যায় হি। লেকিন হুড্ডা সাহাব ভরোসা কা হি দুসরা নাম হ্যায়।’ এই হুড্ডা অবশ্য হুড্ডা—দ্য সিনিয়র। তবে এলাকাবাসীর মনে ঝড় তুলতে ওই পদবিটুকুই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়রের বিশেষ তফাৎ করছেন না রোহতকের মানুষ।