বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
পাশাপাশি আর এক দলিত নেতা কর্ণাটকের মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম নিয়েও চর্চা চলছে। যদিও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং থেকে শুরু করে মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান মিলিন্দ দেওরার মতো নেতারা তরুণ কোনও নেতা বা নেত্রীর হাতে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বা শচীন পাইলটের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে কংগ্রেস নেত্রীর ঘনিষ্ঠ এ কে অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেলের বৈঠক হয়েছে। সেখানে আহমেদ প্যাটেল মুকুল ওয়াসনিকের নামই প্রস্তাব করেছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও আগামীকাল দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
তবে যাঁকেই বাছা হোক, তাঁকে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারপর এআইসিসির বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। সেখানে অন্তর্বর্তী সভাপতিকেই সম্পূর্ণ সভাপতি দেওয়া হতে পারে। অথবা হতে পারে নির্বাচন। দলীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর এভাবে অন্তর্বর্তী সভাপতি রেখে আদতে ভিতরে ভিতরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে তৈরি করা হবে। তারপর তাঁর হাতেই দেওয়া হবে কংগ্রেসের দায়িত্ব। দলের একটা বড় অংশ এমনটাই চাইছে। এবং সোনিয়া গান্ধীর কাছে তা প্রস্তাবও করেছেন।
লোকসভায় মোদিকে মোকাবিলা করতে মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। পরাজয়ের দায় মাথায় নিয়ে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। দল তাঁকে সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করে সময় দিলেও নিজের সিদ্ধান্তে তিনি অনড়। শুধু তাই নয়। সঙ্গে শর্তও দিয়েছেন, নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকেই এবার কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হোক। রাজনৈতিক মহলের মতে, এতে ঘরে বাইরে রাজনৈতিক কৌশল কাজে দেবে রাহুলের। গান্ধী পরিবারের বাইরে কারও হাতে কংগ্রেস গেলে দলের কী অবস্থা হয় তা যেমন স্পষ্ট হবে, একইসঙ্গে বিজেপির পক্ষে আপাতত কংগ্রেসের সমালোচনা করতে গিয়ে নেহরু-গান্ধী পরিবারের দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। তাই আগামীকাল দলের সিডব্লুসিতে কী হয়, সেটাই দেখার।
অন্যদিকে, কাশ্মীর ইস্যুতে দল যেভাবে দ্বিধাবিভক্ত, তা কাটিয়ে একটি অবস্থান নেওয়ার লক্ষ্যে আজ বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস। দলের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে ঠিক হয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে নেহরুর উদ্যোগ যেখানে জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি সহাবস্থানের রাস্তা দেখিয়েছিল, মোদি সরকার তা নষ্ট করে ভূস্বর্গকে অশান্ত করে তুলেছে। এই মর্মে প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।