বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
জেলাশাসক কেভিএস চৌধুরী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে কৃত্রিম পুকুর ছাপিয়ে বিষাক্ত ছাই ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। প্রায় ৫০০ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। এসারের বিবৃতি সহ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের সীমান্তবর্তী সিংরৌলি জেলা মূলত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যই প্রসিদ্ধ। ১০টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে সেখানে। যাদের মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের মতে, সিংরৌলি দেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক দূষিত বাণিজ্য এলাকা। প্রথম অবশ্যই গাজিয়াবাদ।
সাধারণত, সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেই এরকম কৃত্রিম পুকুর খনন করে বর্জ্য ছাই জমা করা হয়। এই ছাইয়ের মধ্যে আর্সেনিক থেকে শুরু করে নানান বিষাক্ত পদার্থ থাকে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, এই কৃত্রিম পুকুরের চারদিকে কংক্রিটের দেওয়াল রাখা আবশ্যক। ধারণ ক্ষমতার বেশি ছাই এখানে জমা করার ব্যাপারেও বিধিনিষেধ রয়েছে। গোটা ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত বলে দাবি করেছেন পরিবেশকর্মী জগৎ নারায়ণ বিশ্বকর্মা। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, কিছু এলাকায় প্রায় ছ’ফুট উঁচু হয়ে ছাই জমেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দু’টি গ্রাম। ছাই জমা হওয়ার পুকুরের একটি দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে। এই দেওয়ালগুলি কাদা, ইট এবং কংক্রিট দিয়ে তৈরি করা উচিত। এক্ষেত্রে ছাই দিয়েই দেওয়ালটি বানানো হয়েছিল। এটা ঠিক নয়। এরকম ঘটনা আগেও অন্য বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রেও ঘটেছে। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে, এসারের বিবৃতিতে এই অন্তর্ঘাতের পিছনে গ্রামবাসীদের হাত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমাদের নিরাপত্তাকর্মীরা পুলিসকে জানিয়েছেন গতকাল রাতে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে চার-পাঁচ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে দেখেন। আমরা অন্তর্ঘাতের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, যে জমিতে ছাই ছড়িয়ে পড়েছে তা অকৃষিযোগ্য এবং তার মালিক এসার পাওয়ার এমপি লিমিটেড। তাদের অনুরোধ সত্ত্বেও সেখানে বসবাসকারী পরিবারগুলি জমি ছেড়ে যায়নি।