বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
আজ এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেছেন, ‘কোথায় কত সার্ভিস চার্জ কার্যকর হবে, তার পরিমাণ সম্পর্কে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা এখনও নিইনি। আগামীদিনে এই ব্যাপারে রেলবোর্ডের সঙ্গে আইআরসিটিসির একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তাতেই পুরোটা চূড়ান্ত হবে।’ যদিও রেলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যেসমস্ত যাত্রী রেলের বিভিন্ন কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন, তাঁদের টিকিটের দামে কোনও ফারাক হবে না। একমাত্র অনলাইনে টিকিট কাটলেই বাড়তি মূল্য চোকাতে হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে টিকিট কাটলে স্লিপার ক্লাসের ক্ষেত্রে মাথাপিছু ২০ টাকা করে অতিরিক্ত দিতে হত সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে। অন্যদিকে এসি ক্লাসে টিকিট কাটলে সার্ভিস চার্জ দিতে হত যাত্রীপিছু ৪০ টাকা করে। এর সঙ্গে যোগ হত টিকিটের মূল্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের চার্জ। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোটবন্দির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। আর সেইসময়ই সাধারণ মানুষকে ডিজিটাল লেনদেনে আরও বেশি উৎসাহ দেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, অনলাইনে টিকিট কাটলে আইআরসিটিসি যে সার্ভিস চার্জ নেয় তা আপাতত আর নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকেরও অনুমোদন মেলে। রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুনরায় সেই সার্ভিস চার্জই চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে স্লিপার এবং এসি ক্লাসের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ যাত্রীপিছু যথাক্রমে ২০ টাকা ও ৪০ টাকাই থাকবে, নাকি আরও বৃদ্ধি পাবে, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।
সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের আগে পর্যন্ত অনলাইনে কাটা টিকিটের উপর যাত্রীপিছু সার্ভিস চার্জ বা সুবিধা শুল্ক ধার্য করে বছরে আইআরসিটিসি প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আয় করত। কিন্তু সার্ভিস চার্জ নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় সেই আয় কমছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকও অনলাইনে টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যাত্রীপিছু সার্ভিস চার্জ নেওয়ার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। যদিও যাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, অধিক মূল্যে টিকিট কাটতে হলেও রেলের খাবারের গুণগত মানোন্নয়নে নজর দেয় না আইআরসিটিসি।