বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
নতুন ব্যবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের কার্ডে রেশন তোলা যাবে দিল্লিতে। তামিলনাড়ুর গ্রাহক সুবিধা নিতে পারবেন উত্তরাখণ্ডে। ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন কার্ড’ প্রকল্পের মাধ্যমে এই মর্মে আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের যেকোনও রেশন দোকান থেকে নাগরিকরা তাদের প্রাপ্য সস্তার চাল, গম নিতে পারবেন। একটিই রেশন কার্ডে যেকোনও রাজ্য থেকে রেশন তোলা যাবে। আপাতত রাজ্যের মধ্যে যেকোনও জেলার যেকোনও দোকান দিয়ে বিষয়টি শুরু করে দুটি পাশ্ববর্তী রাজ্যের মধ্যে এটি শুরু হচ্ছে। মূলত এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে যাওয়া বা দিনমজুরদের রেশনের সুবিধা দিতেই এই ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পাসোয়ান বলেন, এক রাজ্যের মানুষ অন্য রাজ্যে রেশন নিলে যাতে মজুত খাদ্যশস্যের উপর কোনও চাপ না পড়ে, তারই লক্ষ্যে সব রাজ্যকেই অন্তত তিন মাসের বাড়তি খাদ্যসশ্য একেবারে মজুত রাখতে বলা হচ্ছে। আপাতত চারটি রাজ্যের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু হলেও শীঘ্রই ১১ টা রাজ্যে তা শুরু হয়ে যাবে। এরপর আগামী এক বছরে গোটা দেশ। পাসোয়ান আরও বলেন, ব্যবস্থাটি আপাতত কোনও আবশ্যিক না হলেও পরে তা করা হবে।
ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড প্রকল্পে প্রথমে একটি রাজ্যের মধ্যেই যেকোনও দোকান থেকে সেই রাজ্যের গ্রাহকদের রেশন তোলার সুবিধা শুরু হয়। পরে তার পরিধি বাড়িয়ে পাশ্ববর্তী দুটি রাজ্যর মধ্যে করা হয়েছে। সেই মতো বর্তমানে এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা, অন্যদিকে, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র, রাজ্যের বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট দুটি রাজ্যের যেকোনও দোকান থেকে রেশন তুলতে পারছেন। উল্লেখিত চারটি রাজ্যের শীঘ্রই হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, কেরল, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং ঝাড়খণ্ডে শুরু হবে।
ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড প্রকল্পে কোনওভাবে যাতে দুর্নীতি না হয়, তার লক্ষ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ কম্পিউটার চালিত করা হচ্ছে। রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জোড়া হবে। দোকানে বসানো হবে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল মেশিন। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ৪ লক্ষেরও বেশি এ ধরনের মেশিন বসে গিয়েছে। আধার সংযুক্তিকরণের কাজও চলছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের রেশন দোকানদাররা এখনই এই মেশিন বা আধার সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা করেছে।