কোলাপুর, ৯ আগস্ট (পিটিআই): মহারাষ্ট্রের বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী গিরিশ মহাজন। সেখানেই মানুষের করুণ অবস্থা দেখার পাশাপাশি তিনি হাসিমুখে সেলফি তোলেন। পশ্চিম মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে বন্যার জেরে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। আর তাঁদের সেই করুণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে মন্ত্রীর এহেন হাসিমুখে সেলফি প্রবল সমালোচনার ঝড় তুলেছে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে এনসিপি এবং এমএনএসও মহাজনের বিবেচনাবোধ নিয়ে কড়া প্রশ্ন তুলেছে। এনসিপির তরফে বলা হয়েছে, বিজেপির মন্ত্রী বিপর্যয় পরিদর্শনে যাননি। তিনি ‘বিপর্যয় পর্যটন’-এ গিয়েছেন। মহাজনের এহেন ‘অসংবেদনশীল’ আচরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে তাঁর ইস্তফাও দাবি করেছে এনসিপি। বন্যায় মৃত এক শিশুর কথা উল্লেখ করে এনসিপি নেতা ধনঞ্জয় মুণ্ডে প্রশ্ন তোলেন, গিরিশ মহাজন যেভাবে হাসিমুখে সেলফি পোস্ট করেছেন, সে জন্য তাঁর কি একবারও লজ্জা হচ্ছে না? অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে সমালোচনায় বলা হয়েছে, ‘সেলফিউইথডেড সিরিজের জন্য মহাজনকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ঘোষণা করা হোক।’ মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের মুখপাত্র শচীন সাওয়ন্ত ট্যুইট করেন, ‘গিরিশ মহাজনই এই সরকারের চরিত্র, আদর্শ আর পরিচয়ের প্রতিফলন।’
এমএনএস প্রধান রাজ থ্যাকারেও এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বন্যায় পশ্চিম মহারাষ্ট্রের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আর মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা শুধুমাত্র আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করছেন। গিরিশ মহাজন তো সেলফি তুলছেন। তাঁরা এগুলি করছেন কারণ তাঁরা জানেন যে, ফের তাঁরা জিতবেন। এটা এক ধরনের ঔদ্ধত্য।’
তবে বিরোধীদের এহেন সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মহাজন। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে বসে সমালোচনা আর কটাক্ষ না করে তাদের (বিরোধীদের) উদ্ধারকাজে হাত লাগানো উচিত। ত্রাণকাজের যাঁরা রাজনীতিকরণ করছেন, তাঁদের বলব সমালোচনা আর কটাক্ষ করে নিজেদের মনোরঞ্জন না করে সরাসরি এসে ত্রাণকাজে হাত লাগান।’
উল্লেখ্য, মহাজনকে নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। ২০১৫ সালে তিনি বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের এক অনুষ্ঠানে কোমরে বন্দুক বেঁধে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা খারিজ করার পর তাঁকে নাচতেও দেখা গিয়েছে।