প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ ৫০ কোটি। রেশন দুর্নীতিতে ইডি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। দুর্নীতি করে আসা এই টাকা হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাচার বা কাগুজে কোম্পানি খুলে সেখানে বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক অতীতে আয়কর দপ্তর বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে কলকাতা সহ একাধিক জেলায় পাহাড়প্রমাণ নগদ উদ্ধার করেছে। ফলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য কি কালো টাকার ধরার ক্ষেত্রে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না? এই প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক কর্তাদের নজরে আসে, কালো টাকা বা হাওলা কারবার ধরার জন্য রাজ্যের নির্দিষ্ট কোনও এজেন্সি বা উইং নেই। এই সংক্রান্ত ‘রিসার্চ’ নিয়মিত হয় না। ভোটের আগে বা মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে কোনও নির্দিষ্ট সূত্রের ভিত্তিতে খবর এলে হাওলার টাকা বা কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান হয়। এর ফাঁক গলে বেআইনি লেনদেনের কারবার চলতে থাকে রমরমিয়ে। পুলিসের বড়কর্তারা বুঝতে পারেন, এই কারবার বন্ধ করতে নির্দিষ্ট এজেন্সি বা উইং দরকার। ‘ডিরেক্টরেট অব ইকনমিক অফেন্সেস’ (ডিইও) থাকলেও তাদের কাজকর্ম বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই সিদ্ধান্ত হয়, এ সংক্রান্ত ‘ইকনমিক অফেন্সেস উইং’ তৈরি করে ডিইও-কে তার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যে এই শাখা কাজ শুরু করে দিয়েছে। কালো টাকার কারবারিদের সম্পর্কে তথ্যজোগাড় শুরু হয়েছে। কালো টাকার সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে হাওলা কারবার। এই ব্যবসা কোথায় কোথায় চলছে, তার ‘ম্যাপিং’ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, কালো টাকার বিনিয়োগ আটকাতে কাগুজে কোম্পানি নিয়ে তথ্য জোগাড়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিদেশে কালো টাকা পাচারে যুক্ত কিংপিনদের মধ্যে কারা রাজ্যের বাইরের, তা নিয়ে খোঁজখবর চালাছে নয়া উইং।