প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কোনও কারণ ছাড়াই নতুন করে বরাদ্দ না-দেওয়ায়, এর পিছনে রাজনৈতিক কারণই অনুমান করছে রাজ্য প্রশাসন। এই বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাজ করে বাংলার প্রশাসন। প্রতিটি স্তরের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি)-সহ অডিট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যথাসময়েই কেন্দ্রকে পাঠানো হয়। ফলে রাজ্যকে নতুন বরাদ্দ না-দেওয়ার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। স্বভাবতই পরিষ্কার যে, বিরোধী দলের রাজ্য সরকার বলেই বাংলার মানুষের সঙ্গে কেন্দ্র এই বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩ মারফত ২০২২ সালের নভেম্বরে ৮৫৭ কিমি রাস্তা তৈরির অনুমোদন মেলে। ৫৪৮ কোটি টাকার এই কাজের অধিকাংশই শেষ করে ফেলেছে রাজ্য। কাজটি চলতে চলতেই ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আরও সাড়ে পাঁচ হাজার কিমি কাজের অনুমোদন চাওয়া হয়। তার জন্য প্রয়োজন প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। তার একাংশ রাজ্যও দেবে। কিন্তু, এই সংক্রান্ত একটি টাকারও কাজের বরাদ্দ গত দু’বছরে কেন্দ্র দেয়নি। এক আধিকারিক জানান, বাংলায় পিএমজিএসওয়াইয়ের কাজের গুণমান যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল মোদি সরকার। তারা এসেও রাজ্যের কাজে কোনও গলদ খুঁজে পায়নি। উল্টে তাঁরা রাজ্যকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েই চিঠি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও গত দু’বছরে এই প্রকল্পের বাংলার জন্য বরাদ্দ স্রেফ শূন্য!