প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
মাছের খুচরো দাম নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনিতেই খোলা বাজারে মাছের দামের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। উৎসব-পার্বণে তার দাম আকাশছোঁয়া হয়। বাধ্য হয়েই সেই চড়া দামে মাছ কেনেন ক্রেতারা। যেহেতু রুই-কাতলার একটা বড় অংশ বাংলায় আসে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই তার দামেও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মাছের দাম নিয়ে এই সমস্যাগুলি কাটাতেই চালু হচ্ছে সরকারি প্রকল্প।
মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, আপাতত ৩৫টি স্টলকেই আমরা সফল করার জন্য সবরকমের উদ্যোগ নিচ্ছি। সেখানে যেমন টাটকা মাছ থাকবে, তেমনই আগামী দিনে ‘ভ্যালু অ্যাডেড’ পণ্যও রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। অর্থাৎ কাঁচামাছের সঙ্গেই এমন প্রক্রিয়াজাত মাছের পদ রাখা হবে, যা চটজলদি রান্না করে খাওয়া যাবে।
মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে, যেখানে সুফল বাংলা স্টলগুলি রয়েছে, তারই গায়ে খোলা হবে মাছের স্টলগুলির একাংশ। মৎস্য দপ্তরের আওতায় নিজস্ব যেসব জলাশয়ে মাছচাষ হয়, সেখান থেকেই টাটকা মাছ আসবে স্টলগুলিতে। তবে মাছের দাম কত রাখা হবে, সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ৩৫টি স্টলের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় পাঁচটি, উত্তর কলকাতায় তিনটি, সল্টলেকে একটি ও নিউটাউনে তিনটি স্টল খোলা হবে। জেলা স্তরে মৎস্য দপ্তরের অফিসগুলিতেও স্টল খোলার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
কলকাতা ও শহরতলির মাছ-বাজার
দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরের ভোলানাথ মুখার্জি ও দেবপ্রিয় বোস বাজার, বিড়লা মন্দিরের কাছে আয়রন সাইড রোড, দেশপ্রাণ শাসমল রোড, বেচারাম চ্যাটার্জি রোড এবং বেহালার ওডিআরসি হাউজিং এস্টেট।
উত্তর কলকাতার মানিকতলা মেন রোড, আর কে ঘোষ রোড ও বেলগাছিয়া রোড
সল্টলেকের প্রাণিসম্পদ ভবন
নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া থ্রি, টু-বি এবং সাত্ত্বিক (এএ ওয়ান সি, সিবি ব্লক)
উপরের সবক’টি ঠিকানাতেই সুফল বাংলা স্টলের পাশে থাকবে মৎস্য বিপণিগুলি।