প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, তিনভাগের একভাগ অভিযোগ-অনুযোগই চাকরি সংক্রান্ত। জিডিএমও বা জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার এবং মেডিক্যাল অফিসার বা এমও পদে আশু নিয়োগের জন্য দরবার করেছেন অসংখ্য চিকিৎসক। গ্রিভান্স সেল সূত্রের খবর, প্রায় ১২০ থেকে ১৩০টি মেলই এসেছে সরকারি নিয়োগ শুরু করার আর্জি জানিয়ে। এছাড়াও অসংখ্য বিষয় নিয়ে অভিযোগ, আর্জি, অনুযোগ, ক্ষোভ, ন্যায়বিচার চেয়ে ই মেলের বন্য বইছে। দেখা যাক, সেগুলি কী কী—
সূত্রের খবর, অন্তত ৩০-৪০টি ই মেল করেছেন কর্তব্যরত সরকারি চিকিৎসকরা, মূলত ফ্যাকাল্টি বা শিক্ষক চিকিৎসকরা। কমবেশি তাঁদের দাবি হল, সময়ে পদোন্নতির তালিকাই প্রকাশিত হচ্ছে না। স্বাস্থ্যভবন ফেলে রাখছে মাসের পর মাস। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের থ্রেট কালচার নিয়ে অভিযোগও জমা পড়েছে গ্রিভান্স সেলের কাছে। ২০-২৫টি এমন অভিযোগ সংক্রান্ত ই মেল এসেছে তাদের কাছে। পরীক্ষা ব্যবস্থায় অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ক্ষোভ সম্বলিত চিঠিও জমা পড়েছে নবগঠিত এই সেলে। আর একটি বিষয়ে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করে অসংখ্য ই মেল বার্তা এসেছে মুখ্যমন্ত্রী গঠিত এই সেলে। সেটি হল বদলি সংক্রান্ত। সরকারি চাকরিরত বহু চিকিৎসক এই ধরনের মেল করেছেন। কমবেশি প্রত্যেকেরই অভিযোগ হল, সরকারের কোনও সুনির্দিষ্ট বদলি নীতিই নেই। কেন তাঁরা বছরের পর বছর ধরে একই জায়গায় পড়ে থাকবেন আর কেউ কেউ বিশেষ সুবিধাভোগী হবেন? এছাড়া ব্যক্তিগত স্তরে চাকরির বিভিন্ন সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা, সরকারকে পরামর্শ ইত্যাদি বিষয়ক মেলও এসেছে।
এ ব্যাপারে শনিবার গ্রিভান্স সেলের চেয়ারম্যান ডাঃ সৌরভ দত্ত বলেন, ‘যে ইস্যুগুলি নিয়ে বহু চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তারপর আমরা ব্যক্তিগত স্তরের অভিযোগ মেটানোতে জোর দেব।’