প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যকে শিল্পক্ষেত্রে দেশের এক নম্বর করার লক্ষ্যে তাঁর সরকার কাজ করবে। সেই মতো ইতিপূর্বে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর বসতে চলেছে ২০২৫ সালের শুরুতে। তার আগে শিল্পক্ষেত্রের জন্য আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ হল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমির চরিত্র বদল ও মিউটেশনের কাজ শেষ করা। সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রেখে শিল্পোদ্যোগীদের হয়রানি ছাড়াই পরিষেবা নিশ্চিত করা।
জমির চরিত্র বদল ও মিউটেশনের জন্য অনলাইনে আবেদনের সুবিধা অনেকদিন আগেই চালু করেছে ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর। সেই আবেদন মঞ্জুরের আগে দপ্তরের তরফে একবার সরেজমিনে যাচাই হয়। এই পরিদর্শন পর্বে সবকিছু নিয়মমাফিক পাওয়া গেলে তবেই জমির চরিত্র বদল ও মিউটেশনের ছাড়পত্র মেলে। ফলে যাচাইয়ের পর রিপোর্ট জমা দেওয়া থেকে শুরু করে জমির চরিত্র বদলের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এই সময়সীমাই জনসমক্ষে তুলে দেওয়া হলে কাজে যথেষ্ট গতি আসবে বলে মনে করছেন রাজ্যের পদস্থ কর্তারা।
কোথায় এই তথ্য দেখতে পাবেন শিল্পোদ্যোগীরা? নবান্ন সূত্রে খবর, এর জন্য জন্য বিশেষ একটি অনলাইন ড্যাশবোর্ড তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানে এক ক্লিকেই আবেদনকারী দেখে নিতে পারবেন সমস্ত তথ্য। আবেদনের তারিখ, আবেদনের নম্বর, জমির চরিত্র বদল বা মিউটেশনের জন্য কত সময় লাগবে, কত ফি নেওয়া হয়েছে ইত্যাদি সব তথ্যই মিলবে সেখানে। প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করতে আইনও এনেছে রাজ্য। সেখানে সাফ বলা আছে, কোন পরিষেবা কতদিনের মধ্যে দেওয়া বাধ্যতামুলক। সেই সঙ্গে কাজের সময়সীমার তথ্য তুলে ধরার সিদ্ধান্ত সরকারের সার্বিক স্বচ্ছতারই প্রতিফলন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।