প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিকে, ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে নির্বাচন হতে চলা সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করেছে কমিশন। ক্ষয়ক্ষতি বিশেষ হয়নি বলেই জেলাগুলির তরফে জানানো হয়েছে। ভোট কেন্দ্র, ডিসিআরসি ও স্ট্রং রুমগুলির যাবতীয় তথ্য সহ জেলাগুলির তরফে কমিশনের কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে বৃষ্টির জেরে জমা জলের কথা উল্লেখ করা হলেও ঝড়ের কারণে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানানো হয়েছে। ভোটের আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না বলেও জেলাগুলির তরফে কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এই ছয় কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৮৯ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকবে বলেই কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে আরও বেশি বাহিনী নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কমিশন মনে করছে ৮৯ কোম্পনি কেন্দ্রীয় বাহিনী পর্যাপ্ত। এবিষয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কমিশন বৈঠক করেছে বলে খবর। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা। আজ রবিবারের রাতের মধ্যে রাজ্যে বাহিনী ঢুকতে শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাহিনীর মধ্যে থাকছে ২৪ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৩০ কোম্পানি বিএসএফ, ১২ কোম্পানি সিআইএসএফ, ১০ কোম্পানি আইটিবিপি এবং ১৩ কোম্পানি এসএসবি জওয়ান। কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে পৌঁছনোর পরই ভাগে ভাগে ওই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে আধাসেনা। তারপরই শুরু হবে রুট মার্চ এবং এরিয়া ডমিনেশনের পর্ব। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে বাহিনী। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, সিতাইতে ১৬ কোম্পানি, মাদারিহাটে ১৪ কোম্পানি, নৈহাটিতে ১০ কোম্পানি হাড়োয়াতে ১৫ কোম্পানি, মেদিনীপুরে ১৬ কোম্পানি এবং তালডাংরায় ১৮ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। প্রত্যেক জায়গায় যত কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তত সংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিস পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।