বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
অভয়া খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে আর জি করের পাঁচ ডাক্তারকে কয়েকদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও ৮ ও ৯ আগস্ট রাতে হাসপাতালে তাঁদের উপস্থিতির প্রমাণ পাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। তার মধ্যে থেকে এক চিকিৎসকের কথাবার্তায় কিছু ফাঁক থাকায় তদন্তকারীদের খটকা লাগে। তাঁর গতিবিধি নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে অফিসাররা দেখেন, ৯ আগস্ট তিনি সল্টলেকে একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী। একদিন কাটিয়ে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু কেন মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁর এখানে আসা, তা নিয়ে সংশয় জেগেছে তদন্তকারীদের মনে। কারণ হিসেবে তাঁদের ব্যাখ্যা, ওই চিকিৎসকের ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে জানা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক অতীতে মাত্র একদিনের জন্য কলকাতা লাগোয়া কোনও গেস্ট হাউসে তিনি রাত কাটাননি। তাঁর একদিনের জন্য সল্টলেকে এসে ওঠার একাধিক সম্ভাবনা মাথায় ঘুরছে অফিসারদের। তাহলে কী কাকভোরে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে তিনি এখানে এসে উঠেছিলেন? উত্তর জানার চেষ্টা চলছে। নাকি খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে ওই চিকিৎসকের? এমনকী তাঁর সঙ্গে বহিরাগতরা এসে তরুণীকে খুন ও ধর্ষণ করে গিয়েছে কি না, এটা ভাবাচ্ছে এজেন্সিকে। ওই হাউসস্টাফের মোবাইলের গত ৮ ও ৯ আগস্ট আসা সমস্ত কল সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায়। পাশাপাশি সিবিআই জেনেছে, আর জি করে গত ৯ আগস্ট তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে আসা এক ব্যক্তি ১৪ আগস্ট রাতে ভাঙচুরের সময়ও হাজির ছিলেন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এদিন ডিআইএফ’এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত সহ ১৪ আগস্টের ভাঙচুরের বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর।