বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। মমতা লেখেন, ‘আমি এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে বড়নগর গ্রামকে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন মন্ত্রক কৃষি-পর্যটন বিভাগে ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।’
লালবাগ মহকুমার মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের বড়নগরে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চারবাংলা মন্দির। এছাড়া রাজ রাজেশ্বরী, ভবানীশ্বর, জোড় বাংলা, পঞ্চমুখী শিব মন্দির সহ মোট ছ’টি মন্দির রয়েছে। বাকি ১০৮টি মন্দিরের অধিকাংশই বিলুপ্তির পথে। তবে রানি ভবানীর বসতবাড়ি এখনও এই গ্রামে রয়েছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, নদীর তীরে চারটি কারুকার্যখচিত একবাংলা (দোচালা) মন্দির একটি অল্পপরিসর বর্গাকার প্রাঙ্গণে অবস্থিত। যেগুলি রানি ভবানীর অক্ষয় কীর্তি। প্রাচীন মন্দিরগুলি আকৃতি ও পোড়ামাটির কারুকার্যের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। চার-বাংলা মন্দিরের পাশে টেরাকোটার কাজ করা চারটি অষ্টকোণ শিবমন্দির রয়েছে। চার-বাংলা মন্দিরের দক্ষিণ দিকে আঞ্চলিক লোকদেবতা পঞ্চাননরূপী শিবের একটি এক-বাংলা মন্দির এখনও রয়েছে।
অপরূপ সুন্দর এই গ্রামের ছবি ও ভিডিও সহ একটি প্রেজেন্টেশন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। প্রায় তিন মাস পর বৃহস্পতিবার যার ফল বেরতেই খুশির হাওয়া জেলাজুড়ে। তবে এই প্রথম নয়, গতবছরও কেন্দ্রের সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি পেয়েছিল নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী। জেলাশাসক বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যটন মানচিত্রে লালবাগের খোশবাগ ও কিরীটেশ্বরীর কথা অনেকে জানেন। বড়নগর গ্রামের কথা তেমনটা লোকজন জানতেন না। এবার গোটা দেশের মানুষ এই গ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবেন।