বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খাঁ’র কথায়, মহিলা পুলিস কর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণে অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকেও। আমরা সকল ঠিকাকর্মীকে পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি মেডিক্যালে কর্মরত সব ঠিকাকর্মীর তথ্য পুলিসকে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, মেডিক্যালের অধীন সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব লাগোয়া পূর্ত (ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের সামনে বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে মদের আসর বসেছিল। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিসের উইনার্স টিম হাসপাতালে টহল দিতে আসে। তখনই ওই আসর থেকে মহিলা পুলিসকর্মীদের উদ্দেশ্য করে কটূক্তি ও অশালীন অঙ্গভঙ্গি করা হয়। উইনার্স টিমের এক সদস্য বলেন, এর আগেও সদর হাসপাতাল চত্বরে মদের
আসর বসার ঘটনা চাক্ষুষ করেছি আমরা। তাড়া করলেই পালিয়ে যায় তারা। তবে মঙ্গলবার রাতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা এর আগে ঘটেনি। উর্দি পরা মহিলা পুলিসকর্মীদের যদি কটূক্তি করতে পারে ওরা, তাহলে সাধারণ মহিলাদের দেখে ওরা কী না করতে পারে!
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় যারা মহিলা পুলিস কর্মীদের লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য করে, তাঁরা একটি এজেন্সির নিয়োগ করা লোকজন। কীভাবে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরে মদের আসর বসালেন প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। পূর্ত বিভাগের (ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র আব্দুল হাসান বলেন, কোনওভাবেই এসব বরদাস্ত করা হবে না। আমরা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে ডেকেছি। তাদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হবে, ওই রাতে যারা পুলিসের সঙ্গে এমনটা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিতে হবে। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। মেডিক্যালের অতিরিক্ত সুপার সুরজিৎ সেন বলেন, হাসপাতাল চত্বরে এ ধরনের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। - নিজস্ব চিত্র