বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সাত দফা ভোট ঘোষণা প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, কমিশনের ঘোষণা থেকে পরিষ্কার, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে একশোর বেশি মানুষ খুন হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, সমস্ত রাজনৈতিক দলের পরামর্শে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রমজান মাসে ভোট করানো নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আপত্তি প্রসঙ্গে রাহুলবাবু বলেন, পঞ্চায়েত ভোটও রমজান মাসে হয়েছিল। ভোটের দিনক্ষণ পরিবর্তন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে তা নাকচ হয়ে যায়। রমজান মাসে সংখ্যালঘুরা ব্যবসা করতে পারলে ভোট দিতে কী অসুবিধা? প্রশ্ন তোলেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। সেই বাহিনীকে মোতায়েন করা এবং তার গতিবিধি নির্ধারণের দায়িত্ব নিরপেক্ষ অফিসারের হাতে দিতে হবে।
অন্যদিকে, ভোটের দিন ঘোষণা হতেই সিপিএম নেতা বিমান বসু ঘোষণা করেন, আগামী ১৩ মার্চ বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে। তাঁর প্রশ্ন, সাত দফার ভোটে অসুবিধা কোথায়? একই লোক তো সব জায়গায় ভোট দিতে যাবে না। তাহলে কষ্ট হবে। প্রত্যেকে তো নিজের নিজের লোকসভা কেন্দ্রে একবারই ভোট দেবেন। পাশাপাশি রমজান মাসের সমস্যা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কে জল ঢেলে দেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক। তিনি বলেন, প্রথা অনুসারে গোটা দেশে এই সময়ই ভোট হয়। তবে আসন্ন ভোটে নির্বাচন কমিশনকে কঠোরভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন বিমান বসু। তাঁর কথায়, গত কয়েক বছর এ রাজ্যে কয়েকটি নির্বাচনে সাধারণ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। কমিশনকে এ বিষয়ে দৃঢ পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ভোট কত দফায় হবে তা বিচার্য নয়। অবাধ-নিরেপক্ষ ভোট করার স্বার্থে কমিশনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। কারণ, আগের নির্বাচনগুলিতে রাজ্যে এত খুনখারাবির ইতিহাস রয়েছে। সেই ট্রাডিশন ভেঙে বাংলার মানুষের মধ্যে ভোটদানের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাই কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও রমজান মাসের মধ্যে ভোট না পড়লেই ভালো হতো বলেও মনে করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।