বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
যে রেশন গ্রাহকদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি এবং বিশেষভাবে সক্ষম গ্রাহকদের এই ব্যবস্থার আওতায় আনতে বলা হয়েছে। তবে এর সঙ্গে ওই রেশন গ্রাহকের পরিবারে ১৬ থেকে ৬৫ বছর বয়সি অন্য কোনও সদস্য নেই এমন পরিস্থিতিও থাকতে হবে। এই কারণে রেশন দোকানে যেতে সক্ষম না হলে এই সুবিধা মিলবে।
কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার চাইলে এই ধরনের রেশন গ্রাহকের বাড়িতে তাঁর জন্য বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে। ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যে সেখানে এই ব্যবস্থা চালু করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর জন্য কোনও অবস্থাতেই গ্রাহকের উপর অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপানো যাবে না।
এর পাশাপাশি বিকল্প প্রস্তাবটিতে ওই রেশন গ্রাহকের মনোনীত কোনও ব্যক্তিকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই গ্রাহককে তাঁর মনোনীত ব্যক্তির নাম জানাতে হবে। ওই মনোনীত ব্যক্তির আধার নম্বর দিতে হবে। তবে কোনও ব্যক্তিকে মনোনীত করার জন্য কয়েকটি শর্ত আছে। ওই ব্যক্তিকে একই রেশন দোকানে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহক হতে হবে। চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তবেই ওই মনোনীত ব্যক্তির হাতে রেশন দোকানে আসতে অসমর্থ গ্রাহকের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে। কোনও অবস্থাতেই রেশন ডিলার বা তার কোনও আত্মীয়স্বজনকে এই ব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার জন্য মনোনীত করা যাবে না। রেশন ব্যবস্থায় জড়িত ভিজিল্যান্স কমিটিগুলিকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকতে বলেছে কমিটি।
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প চালু করার পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সুবিধা প্রাপকদের কাছে রেশনের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে সরকার জানতে পারে, বহু রেশন গ্রাহক তাঁদের বয়সের জন্য বা বিশেষভাবে সক্ষম হয়ে পড়ার কারণে তাঁদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী তুলতে পারছেন না। সব দিক বিবেচনা করে তাঁদের কাছে খাদ্য পাঠানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প চালু হওয়ার আগে রেশনে অন্নপূর্ণা নামে একটি প্রকল্প চালু ছিল। যাতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সি দুঃস্থদের বাড়িতে মাসে ১০ কেজি করে চাল পাঠাতে হতো। এই শ্রেণীর রেশন গ্রাহকদের আলাদা কার্ড ছিল।