হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজয়ের সঙ্গে আলাপ হয় ১৫ বছরের কিশোরীর। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মাস তিনেক আগে পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়। কিশোরীর এক বান্ধবীর বক্তব্য, ‘বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাচ্ছি বলে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু, তারপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ করেনি। ফোনও বন্ধ ছিল। পরের দিন পরিবারের সদস্যদের ভিডিও কল করে কিশোরী। জানায়, বেলতলা মোটর ভেহিকেলস এলাকার বাসিন্দা এক যুবককে বিয়ে করেছে সে।’ পরিবারের সদস্যদের দাবি, এই বিয়েতে প্রথম থেকেই মত ছিল না তাঁদের। বিয়ের পর থেকেই কোনও যোগাযোগ ছিল না মেয়ের সঙ্গে। আচমকাই কয়েকদিন আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসে ওই নাবালিকা। কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কিশোরী জানিয়েছিল, বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়িতে লাগাতার নির্যাতনের শিকার সে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি বিকৃত যৌন আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করত তার স্বামী। পরিবারের অভিযোগ, দ্রুত শ্বশুর বাড়িতে ফেরার জন্য ফোন করে চাপ দিচ্ছিল ওই যুবক। শুধু তাই নয়, না ফিরলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে আত্মীয়দের দাবি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ঘরের দরজা বন্ধ রেখেছিল নাবালিকা। রাতে খাবার জন্য ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেনি। এরপরেই দরজা ভাঙেন পরিবারের সদস্যরা। দেখা যায়, ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে ১৫ বছরের বধূ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কসবা থানার পুলিস। নাবালিকাকে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন নাবালিকা। এরপরেই পরিবারের সদস্যরা নাবালিকা বধূকে যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজ করে তদন্তে নামে পুলিস। লালবাজার জানিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনা, পকসো ও চাইল্ড ম্যারেজ আইনে গ্রেপ্তার করা হয় নাবালিকার স্বামীকে।