হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, জয়গাছি রেললাইনের ধারে বাস করে ত্রিনাথের পরিবার। বাড়িতে তাঁর দুই নাবালক সন্তান ছাড়াও রয়েছেন মা। বছর চারেক আগে রেললাইন পার হতে গিয়ে দু’পা কাটা যায় ত্রিনাথের। সংসার চালানোর জন্য বাড়িতেই ছোট্ট একটি গুমটি চালাতেন তিনি। স্ত্রী সুনন্দা পরিচারিকার কাজ করতেন। প্রতিদিন আকণ্ঠ মদ্যপান করতেন ত্রিনাথ। তা নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি ছিল নিত্যদিনের। শুক্রবার সকালেও তা চরমে ওঠে। দুপুরে লাঠিতে ভর করে ত্রিনাথ রেললাইনে নেমে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দূর থেকে তা দেখে স্ত্রী বাঁচাতে ছুটে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হলেন দম্পতি। প্রতিবেশী বৃষ্টি ঘোষ বলেন, ত্রিনাথকে বাঁচাতে গেলে ও স্ত্রীকেও টেনে নিয়েছিল। তাতেই দু’জনের মৃত্যু হল। খুব মর্মান্তিক ঘটনা।
অনন্ত বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, স্ত্রীকে ভয় দেখাতে গিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি। বাড়িতে দু’টি নাবালক সন্তান রয়েছে, তাদের কি হবে বুঝতে পারছি না। মৃতের মা অঞ্জলি সাহা বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিনই অশান্তি হতো মদ খাওয়া নিয়ে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। ছেলেকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচাতে গিয়ে বউমার প্রাণ গেল।