হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা অনির্বাণ মহাপাত্র পেশায় চিকিৎসক। তিনি বিয়ে করলেন বাংলাদেশের মাগুরা জেলার বাসিন্দা সঞ্চিতা ঘোষ ওরফে বৃষ্টিকে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এদিনই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অনির্বাণবাবু নববধূকে নিয়ে নিজের দেশে ফেরেন। অনির্বাণ ও সঞ্চিতার প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন অনির্বাণ। ২০১৮ সালে ওই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন সঞ্চিতা। প্রথমে দু’জনের আলাপ। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনির্বাণ ডাক্তারি পাশ করে দেড় বছর আগে দেশে ফেরেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নাক-কান-গলা বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দু’জনের বিয়ে ঠিক হয়। জানা গিয়েছে, বিয়ে করার আগে কয়েকবার বাংলাদেশে গিয়েছিলেন অনির্বাণ। দু’দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিসার আবেদন করেন। ১৯ তারিখ ছেলের বাবা তপনকুমার মহাপাত্র, দিদি সুতপা মহাপাত্র সহ প্রায় ১৪ জন মিলে বাংলাদেশে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। শুক্রবার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ভারতে আসেন নববধূ। ভিসা না মেলায় মেয়ের বাড়ির কেউ এদেশে আসতে পারেননি।
জীবনে এই প্রথম ভারতে এলেন সঞ্চিতা। তিনি বলেন, ‘ওঁর ভালোবাসাই আমার একমাত্র ভরসা। এখানে সব নতুন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির ভালোবাসায় এদেশকে আপন করে নেব।’ বাংলাদেশ থেকে কেউ এ বাংলায় আসতে না পারায় তাঁর আক্ষেপ আছে। বাবা-মা আসতে পারলে খুব ভালো লাগত বলে জানালেন। ভারত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মনে করেন, ‘দু’দেশের এই সম্পর্ক বেশি দিন থাকবে না। আমি চাই দ্রুত এর অবসান হোক।’ আর অনির্বাণ বলেন, ‘আমাদের দু’জনের ভালোবাসা দীর্ঘদিনের। সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চাই আমরা।’ বৌমাকে পেয়ে খুশি অনির্বাণের বাবা তপনবাবু। তিনি বলেন, ‘ওঁদের জীবন মধুর হয়ে উঠুক।’ -নিজস্ব চিত্র